ভক্তরা তাকে ডাকেন- ‘নবাব’ নামে। কেউ কেউ আবার তার নামের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন রেকর্ড শব্দটা, অর্থ্যাৎ ‘রেকর্ড আল হাসান’। একার হাতে যেভাবে বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতান, গড়েন একের পর এক রেকর্ড, তাতে এই দুই নামেরই স্বার্থকতা খুঁজে পাওয়া যায়। এবারের বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সবগুলোতেই ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার জিতেছেন একজন- সাকিব আল হাসান।
Advertisement
অনেকেই তাই মনে করছেন, এবার বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ জেতাবেন সাকিব। মাঠে তার শরীরি ভাষা, উদযাপন ভঙ্গি বুঝিয়ে দেয়, তিনি নিজেও চান এমন কিছু। সাকিব আল হাসান ভরসা পেতে পারেন ইতিহাস থেকেও। বাংলাদেশকে শিরোপা জেতাতে পারেন সাকিব, এমন বার্তা পাওয়া যাচ্ছে বিশ্বকাপের ইতিহাসেও।
চলতি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করেন সাকিব। ঠিক তার পরের ম্যাচেই আরো এক সেঞ্চুরি করেন তিনি, ৯৯ বলে ১২৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন দলকে জিতিয়েই। সোমবার আফগানস্তিানের বিপক্ষে বল হাতে ২৯ রান দিয়ে ৫ উইকেট পেয়েছেন সাকিব। ব্যাট হাতে করেছেন ৫১ রান।
সাকিবের আগে একই বিশ্বকাপে ৫ উইকেট ও সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটার আছেন মাত্র দু’জন। দু’জনই ভারতীয়। ১৯৮৩ সালে প্রথমবার এই কীর্তি গড়েন কপিল দেব। ২০১১ সালে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে একই কীর্তি গড়েছিলেন যুবরাজ সিং। সাকিবের আগে এমন কীর্তি গড়া দুইজনই ওই আসরে নিজের দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন।
Advertisement
১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৩৮ বলে ১৭৫ রানের দূর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন কপিল। ঠিক তার পরের ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪৩ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। সেবার ফাইনালে শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতে নেয় ভারত।
২০১১ সালের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চেন্নাইতে ১২৩ বলে ১১৩ রান করেন যুবরাজ সিং। ওই বিশ্বকাপেই ব্যাঙ্গালুরুতে ৩১ রান দিয়ে ৫ উইকেট পান আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। সেবারও বিশ্বকাপ জিতে নেয় তার দল ভারত।
ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এবারের বিশ্বাকাপেও একই কৃতিত্ব দেখালেন সাকিব। এবার দেখার বিষয় কপিল দেব-যুবরাজ সিংরা শেষ পর্যন্ত যে কৃতিত্ব দেখাতে পেরেছিলেন, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান সেটা পারেন কি না।
এমএইচবি/আইএইচএস/পিআর
Advertisement