চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করতে বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন সৌদি আরব যাবেন।
Advertisement
আগামী ৪ জুলাই থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। হজ ফ্লাইটের আর মাত্র ৯দিন বাকি থাকলেও এখনও পর্যন্ত এ ভিসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন প্রায় শতভাগ এজেন্সি ও হাজার হাজার হজযাত্রী। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সৌদি-ই হজ সিস্টেমে সরকারি ব্যবস্থাপনার ৬ হাজার ৫০৭ জনের ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৪৭ হাজার ২৩২ জনের পাসপোর্ট এনরোলমেন্ট হয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, সোমবার থেকে হজ ভিসা ইস্যু শুরু করেছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হাতেগোনা কিছু সংখ্যক যাত্রী অনলাইন ভিসা পেয়েছেন।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আনিসুর রহমান ও হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিমের কাছে জানতে চাইলে তারা দু’জনই হজ ভিসা ইস্যুর শুরু হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে প্রাপ্ত ভিসার সংখ্যা খুবই কম বলে তারা জানান। এত শ্লথ গতিতে হজ ভিসা ইস্যুর কারণ জানতে চাইলে ধর্ম সচিব জানান, সৌদি আরবের অনলাইনে ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত কোনো ত্রুটির কারণে আপাতত ভিসা প্রদান ধীরে চলছে। শুধু বাংলাদেশই নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই অনলাইন ভিসা ইস্যু নিয়ে একই ধরনের সমস্যা চলছে। তবে খুব শিগগিরই পদ্ধতিগত জটিলতা কেটে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
Advertisement
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, চলতি বছর হজ ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে সৌদি আরব খুবই কড়াকড়িভাবে তথ্য উপাত্ত বিচার বিশ্লেষণ করে তবেই ভিসা ইস্যু করছে। কম্পিউটার সফটওয়্যারে কোনো একটি তথ্য না পেলে আবেদনপত্র রিজেক্ট হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাবের একজন সদস্য জানান, নির্ধারিত দিনক্ষণে উড়োজাহাজের টিকিট কেটে রাখলেও এখনো পর্যন্ত ভিসা না হওয়ায় তারা দুশ্চিন্তায় রয়েছে বলেন জানান।
এমইউ/এমআরএম
Advertisement