খেলাধুলা

‘ফ্যান্টাস্টিক’ সাকিবে মুগ্ধ মাশরাফি

ভক্তরা ডাকেন সুপারম্যান বলে, টিমমেটদের কাছে তিনি আবার প্রিয় ময়না। তবে প্রতিপক্ষের কাছে এতো ভালোবাসার বস্তু নন বাংলাদেশ দলের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। মাঠে বিপক্ষ দলকে স্রেফ গুড়িয়ে দিতে সাকিবের জুরি মেলা ভার।

Advertisement

যার প্রমাণ আরও একবার মিললো সাউদাম্পটনের রোজ বোলে। যেখানে সাকিবের আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। ব্যাট হাতে খেলেছেন ৫১ রানের ইনিংস, দলকে দিয়েছেন লড়াকু পুঁজির ভিত। পরে বল হাতে স্রেফ ভস্মীভূত ছাইয়ে পরিণত করেছেন আফগান ব্যাটিং লাইনআপকে।

ব্যাট হাতে ৫১ ও বল হাতে ক্যারিয়ার সেরা ২৯ রানে ৫ উইকেট নেয়ার মাধ্যমে অসংখ্য রেকর্ড গড়েছেন সাকিব। তবে সবচেয়ে বড় তৃপ্তি যেটি, তা হলো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের টানা তৃতীয় জয়ে সাকিবই নির্বাচিত হয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়।

এছাড়া বিশ্বকাপের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে একই ম্যাচে ফিফটি ও পাঁচ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। তার আগে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এ কৃতিত্ব দেখান যুবরাজ সিং। একই সঙ্গে বিশ্বকাপের ইতিহাসে বাংলাদেশের পক্ষে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ডটাও গড়েছেন তিনি।

Advertisement

এমন একজন খেলোয়াড় যার দলে রয়েছেন, সে দলের অধিনায়কের মনের অবস্থা কেমন- তা কল্পনা করে নেয়া যায় সহজেই। নিখুঁত ম্যাচ উইনার সাকিব আল হাসানকে পেয়ে তেমনই উচ্ছ্বসিত টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

আফগানিস্তানকে ৬২ রানের ব্যবধানে হারিয়ে মাশরাফির চোখেমুখে তাই খুশির ঝলকানি আর কণ্ঠে ম্যাচসেরা খেলোয়াড় সাকিবের বন্দনা। একা হাতে আফগানিস্তানকে গুড়িয়ে দেয়া সাকিবকে ‘ফ্যান্টাস্টিক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন মাশরাফি।

ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে মাশরাফি বলেন, ‘সাকিব এক কথায় ফ্যান্টাস্টিক। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই সে দুর্দান্ত। দলের জন্য সব করছে সে। প্রতি ম্যাচেই রান করছে। আবার যখন প্রয়োজন পড়ছে উইকেটও নিয়ে দিচ্ছে। এক কথায় দুর্দান্ত।’

এসময় মুশফিকুর রহীমের সঙ্গে গড়া জুটির কথা উল্লেখ করে টাইগার অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আমাদের জন্য সাকিব ও মুশফিকের জুটিটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ উইকেটটা মোটেও ব্যাটিং সহায়ক ছিল না। শুরুতে তামিমও ভালো খেলেছে। শেষে গিয়ে মোসাদ্দেকের ফিনিশিংটাও বাড়তি সাহস জুগিয়েছে।’

Advertisement

এসএএস