সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‘কবি-শিল্পী-সাহিত্যিকরা সমাজের গুণীজন।’ প্রতিবারের মতো এবারও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এমন ৪৫ জন প্রয়াত বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের স্মরণে অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘আগামীতে সংগীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকার, নাট্যকার, অভিনয়শিল্পী, নৃত্যশিল্পী, আবৃত্তিকারসহ সংস্কৃতির সকল শাখার বরেণ্য ব্যক্তিত্বদের অন্তর্ভুক্তিপূর্বক এ সংখ্যা একশতে উন্নীত করা হবে।’
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত প্রয়াত সাংস্কৃতিক মনীষীদের (বাংলাদেশের কবি, সাহিত্যিক ও শিল্পীদের) স্মরণে মাসব্যাপী ‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ ২০১৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, ‘এবারের বাজেট নিয়ে সংস্কৃতিজনদের মধ্যে কিছুটা আক্ষেপ রয়েছে। তাদের ধারণা সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাজেট কমেছে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে গতবারের মূল বাজেটের চেয়ে এবার বাজেট ৬০ কোটি টাকা বেড়েছে। একটি আইটেমে ১০০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দসহ গতবারের বাজেট হিসাব করা হচ্ছে।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘এবারের বাজেটেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য বিশেষ বরাদ্দ থাকবে যা গতবারের বিশেষ বরাদ্দের চেয়ে অনেক বেশি হবে। সবমিলিয়ে এবারের বাজেট গতবারের চেয়ে অনেক বেশি হবে।’
প্রতিমন্ত্রী এ সময় সাম্প্রতিক সময়ে প্রয়াত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের স্মরণ করেন এবং তাদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন সংগীতজ্ঞ অধ্যাপক ড. আ ব ম নূরুল আনোয়ার, বাংলাদেশ থিয়েটার আর্কাইভের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট নাট্য অনুবাদক, নাট্য সমালোচক অধ্যাপক আবদুস সেলিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক শিল্পী জামাল আহমেদ, আলোকচিত্র শিল্পী পাভেল রহমান, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান এবং চলচ্চিত্র সংসদকর্মী ও আলোকচিত্রী মুনিরা মোরশেদ মুন্নী।
এমইউ/এমআরএম
Advertisement