দেশজুড়ে

রাস্তার মাঝখানে একাধিক বিদ্যুতের খুঁটি, ঘটবে দুর্ঘটনা

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ির ব্যস্ততম সড়ক সিএনজি স্টেশন-নতুন বাজার-আজিজিয়া মাদরাসা সড়ক। এ সড়ক দিয়ে শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের অধিক চলাচল। চলাচল করে অসংখ্য যানবাহন। সড়কের পাশেই রয়েছে মাতারবাড়ির পুলিশ ক্যাম্প। নানা প্রয়োজনে তারাও ব্যবহার করে সড়কটি। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়কের মাঝখানে রয়েছে একাধিক বিদ্যুতের খুঁটি। নানা কারণে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো রাস্তার মাঝখান থেকে সরানো যাচ্ছে না বলে জানান মাতারবাড়িবাসী।

Advertisement

স্থানীয়রা জানান, সবার কাছে মাতারবাড়ি এখন দ্বিতীয় সিঙ্গাপুর হিসেবে পরিচিতি। একাধিক কয়লা বিদ্যুতের প্রকল্পে উন্নয়ন চলছে। এ কারণে মাতারবাড়ি প্রধান সড়কের দুই পাশে বসবাস করছেন প্রকল্পে কাজ করা শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারী। প্রয়োজনের তাগিদে সড়কে চলাচল করছে প্রকল্পের অসংখ্য গাড়ি। কিন্তু বাজার এলাকার প্রধান সড়কসহ উপ-সড়কের ওপর বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। এসবের মাঝে সবচেয়ে বিপদজনক নতুন বাজার সংলগ্ন তিন রাস্তার মোড়ে পল্লীবিদ্যুতের খুঁটিটি। রাস্তার মাঝখান থেকে এসব খুঁটি সরানোর জন্য বার বার অভিযোগ করার পরও পল্লীবিদ্যুতের কর্মকর্তারা পাত্তা দিচ্ছেন না। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও লেখালেখি হচ্ছে অনেক।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপকূলীয় উপজেলা হিসেবে চলাচল কম থাকায় আগে মহেশখালীর প্রধান সড়ক ও উপ-সড়কগুলো ছিল সরু। তখন টানা বৈদ্যুতিক লাইনগুলোর খুঁটি সড়কের পাশেই করা ছিল। কিন্তু গত একযুগ ধরে উন্নয়নের সূত্রে সড়কের প্রশস্ততা বেড়েছে। সড়ক বড় করার সময় বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো মাঝখানে রেখেই তা প্রশস্ত করা হয়। ফলে সড়ক বড় হয়ে সুবিধা হলেও খুঁটিগুলো যান চলাচলে দুর্ভোগ বাড়িয়েছে।

মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এমন অনেক সড়ক, উপ-সড়কের মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে। এসব খুঁটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

Advertisement

পল্লীবিদ্যুৎ মহেশখালী জোনাল অফিসের কর্মকর্তা কাজী এমদাদুল হক বলেন, সড়কের মাঝখান থেকে খুঁটি সরাতে পল্লীবিদ্যুতের নিজস্ব ঠিকাদারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নানা কারণে বিপদজনক খুঁটিগুলো সরাতে বিলম্ব হচ্ছে। জুলাই মাসের প্রথম দিকে এগুলো সরানো হবে। অন্য এলাকার বিপদজনক বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলোও অপসারণে কাজ চলছে।

সায়ীদ আলমগীর/এএম/জেআইএম