ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) মানেই তারকাদের আসর। এখানে খেলার সুযোগ পেলে কোন ক্রিকেটারই তা হারাতে চান না। তবে এখানে খেলাটা যে কোনো দেশের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে তার জ্বলন্ত উদাহরণ হলো দক্ষিণ আফ্রিকা। কেননা আফগানিস্তানের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে এবারের বিশ্বকাপ থেকেই বিদায় নিয়েছে তারা।
Advertisement
এবারের আসরে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব দিক থেকেই ভক্তদের হতাশ করেছে প্রোটিয়ারা। যদিও তাদের বোলিং লাইনআপকে এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ভাবা হচ্ছিল; কিন্তু আশার ছিঁটেফোটাও দিতে পারেননি কাগিসো রাবাদা-লুঙ্গি এনগিদিরা। বিশেষ করে রাবাদার ওপর সবচেয়ে বেশি ক্ষুদ্ধ দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি।
আইপিএলের আগে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন রাবাদা। নিজের সেই আগুন ঝরানো বোলিং আইপিএলেও দেখান এই পেসার; কিন্তু মাঝপথে ইনজুরিতে পড়ায় আসর থেকে ছিটকে পড়েন তিনি।
বিশ্বকাপের কিছুদিন আগে ফিট হয়ে উঠলেও এই আসরে পুরোপুরি নিষ্প্রভ ছিলেন রাবাদা। তাই এর জন্য তার আইপিএলে খেলাকেই দোষ দিচ্ছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ডু প্লেসি। তিনি মনে করেন, আইপিএলে খেলার কারণেই বিশ্বকাপে ফ্লপ হয়ে গেছেন রাবাদা।
Advertisement
প্লেসি বলেন, ‘এ বিষয়ে কোন নিখুঁত উত্তর আমরা খুজে পাব বলে আমি মনে করি না। কারণ সেই খুব সম্ভবত অসহ্য ছিল এই ব্যাপারটি নিয়ে; কিন্তু আমরা চেষ্টা করে গেছি এবং তাকে আইপিএলের না যাওয়ার জন্য বলেছিলাম। যাতে করে এখানে থেকে সে নিজের শরীরটা যেন তাজা রাখতে পারে। তারপরও সে যখন ওখানে গেল, আসরের মাঝপথেই তাকে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করে গেছি আমরা। কারণ এটা জরুরি ছিল। শুধু তার জন্যই নয়, অন্য খেলোয়াড়দের জন্যও।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ব্যাপারে আমি আইপিএল শুরু হওয়ার আগেই কথা বলেছি। আমাদের তিন ফরম্যাটের খেলোয়াড়দের জন্য বিশ্রামের সময়টা খুজা জরুরি ছিল। কারণ তারা সবসময়ই তিন ফরম্যাটে ক্রিকেট খেলে থাকে এবং এরপরে আইপিল। আমি এটা মনে করি না আইপিএলে খেলার কোন প্রয়োজনীয়তা নেই, তবে কিছু খেলোয়াড়ের জন্য বিশ্রামে থাকাটা জরুরি ছিল।’
বিশ্বকাপে খুব একটা ভালো না করলেও রাবাদার উপর ভরসা হারাচ্ছেন না প্রোটিয়া অধিনায়ক। তার বিশ্বাস খুব শীঘ্রই আবারো নিজের পুরনো রিদমে ফিরে আসবেন এই পেসার। প্লেসিসি বলেন, ‘রাবাদা অসাধারণ একজন বোলার। শিগগিরই এসব কাটিয়ে উঠবে সে।’
এএইচএস/আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement