র্যাংকিংয়ে এক নম্বরে, দুর্দান্ত ব্যাটিং লাইনআপ এবং আয়োজক- সব হিসেবেই এই বিশ্বকাপে ফেবারিটদের শীর্ষে ছিল ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপ শুরুর আগে ক্রিকেট পন্ডিতদের বিশ্লেষণজুড়েও ছিল ইংল্যান্ডের সম্ভাবনার কথা।
Advertisement
সেই ইংল্যান্ডই এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। ৬ ম্যাচ শেষেও তাদের সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনার আকাশ ঢেকে আছে অনিশ্চয়তার মেঘে। স্বাগতিকরা কী পারবে উঠানের বিশ্বকাপের শেষ চারে জায়গা করে নিতে? যাদের ধরা হয়েছিল সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন তারাই এখন মাথা ঠুকছে সেমিফাইনালের টিকিট পেতে।
৬ ম্যাচে ইংল্যান্ডের চারটি জয়, দুটি হার। ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চার নম্বরে। সেমিতে যেতে হলে অন্তত আরো দুটি ম্যাচ জিততে হবে ইংলিশদের; কিন্তু যে তিন দলের সঙ্গে তাদের খেলা বাকি তারা যে ইংল্যান্ডের জন্য কুফা! ২৭ বছর ধরে (১৯৯২ বিশ্বকাপের পর) বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড হারাতে পারছে না অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও নিউজিল্যান্ডকে। টিকে থাকতে হলে তাই ইংল্যান্ডকে বদলে ফেলতে হবে গত ৬ বিশ্বকাপে এ দল তিনটিকে হারাতে না পারার ইতিহাস।
ব্যর্থতার পাতা উল্টাতে ইংল্যান্ডকে পরের ম্যাচেই (আগামীকাল, মঙ্গলবার) মুখোমুখি হতে হবে অস্ট্রেলিয়ার। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নরা ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে আছে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। অসিরা নিশ্চয়ই চাইবে স্বাগতিকদের হারিয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে। ওয়ার্নারদের সে চাওয়ার আগুন নেভাতে না পারলে ইংল্যন্ডের সেমি কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
Advertisement
ইংল্যান্ড এই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে আগের ম্যাচে শ্রীলংকার কাছে ২০ রানে হেরে যাওয়ায়। শ্রীলংকার করা ২৩২ রানের জবাবে ইংল্যান্ড করেছিল ২১২ রান। এ হারটির খেসারত দিতে হয় কিনা ইংল্যান্ডকে সেটাই দেখার বিষয়।
খেলাটা যখন ক্রিকেট, তখন অতীত রেকর্ড আর পারফরম্যান্স কোনো কাজে নাও আসতে পারে। দিনটি যাদের হবে, ম্যাচও তারা জিতবে। তাই ২৭ বছর অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও নিউজিল্যান্ডককে হারাতে পারেনি বলে এবারও পারবে না তার নিশ্চয়তা কী?
বিশ্বকাপে তাদের সামনে কুফা হয়ে থাকা তিন দলকে হারিয়েও তো দাপটের সঙ্গে শিরোপার দাবিদার হয়ে থাকতে পারে ইংল্যান্ড। সে মিশনটা তো মঙ্গলবার ক্রিকেটের তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত লর্ডস থেকেই শুরু হতে পারে ইয়ন মর্গ্যানদের।
আরআই/আইএইচএস/এমএস
Advertisement