২০১৩ সালে লটারির টিকিট কেটেছিলেন রিচার্ড জেলাস্কো নামের মার্কিন এক নাগরিক। গত সপ্তাহে সেই জ্যাকপট জিতে ৮ কোটি ডলার পেয়ে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন তিনি। লটারি জিতলেও তার জন্য অপেক্ষা করছিল এক দুঃসংবাদ। স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন এই টিকিট কেটেছিলেন রিচার্ড।
Advertisement
এ নিয়ে ওই নারী সম্প্রতি আদালতের কাছে নালিশ করেছেন, লটারি কেনার সময় তিনি রিচার্ডের সংসারে ছিলেন। তাই ওই টাকার ভাগ দিতে হবে তাকে। লটারি জেতার খবর জানার পর আদালতের তিন বিচারকের এক বেঞ্চ স্ত্রী মেরি জেলাস্কোকে অর্ধেক টাকা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। গত ১৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের একটি আদালত এই রায় দেন।
সাত বছর দাম্পত্য জীবন কাটানোর পর জোলাস্কো দম্পতি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন ২০১১ সালে। কিন্তু ২০১৮ সালেও সেই মামলার কোনো রায় বের হয়নি। ২০১৩ সালে ওই লটারির টিকিট কাটেন রিচার্ড। গত সপ্তাহে জানা যায়, তিনি লটারি জিতেছেন। তারপরই বিচারকরা এমন নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন : ডিভোর্সের পরও স্বামীর কাছেই সন্তান চান স্ত্রী
Advertisement
যদিও রিচার্ডের উকিল জানিয়েছেন, তিনি আদালতের এই নির্দেশ মেনে নিতে পারছেন না। তার দাবি, রিচার্ড ভাগ্যবান বলেই এই টাকা পেয়েছেন। তাই এই টাকার দাবিদার তিনি একাই। ইতোমধ্যে তিনি কোর্টের ওই রায়ের বিপক্ষে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন।
আদালতের মতে, বিচ্ছেদের আবেদন করার পর তিন বাচ্চা ও স্ত্রীর ভরণপোষণের জন্য কিছু দেননি রিচার্ড। কিন্তু মামলায় লড়তে গিয়ে দু'পক্ষই সমানভাবে ভূগেছেন। তাই ভালোটাও সমান ভাগ হওয়া উচিত তাদের।
বার্তাসংস্থা এপি বলছে, যখন জেলাস্কো দম্পতি একসঙ্গে থাকতেন, তখনও সংসারের খরচের বেশির ভাগ বহন করতেন মেরি। তিনি রিচার্ডের থেকে তিনগুণ বেশি আয় করতেন। টিকিট কাটার পর নিজের ওয়ালেটে টিকিটটি সযত্নে রেখে দেন রিচার্ড। গরমের ছুটিতে ঘুরতে বেরিয়ে সেই ওয়ালেট হারিয়েও ফেলেন তিনি। এর এক মাস পরে মেগা মিলিয়ন ওয়েবসাইটে রিচার্ড জানতে পারেন, লটারি জিতেছেন তিনি।
আরও পড়ুন : পুকুরে ইলিশ চাষ করে দেখিয়ে দিলেন তিনি
Advertisement
এর আগে বিচারক জন মিলসকে রিচার্ড ও মেরি বলেন, মমলার যাবতীয় ব্যয়ভার তারা সমানভাবে বহন করবেন।২০১৪ সালে বিচারক জন মারা যাওয়ার পর লটারি জিতেন রিচার্ড। ফলে আগের দেয়া কথা অনুযায়ী, এবার লটারির টাকাও সমানভাগে ভাগ হবে বলে জানিয়ে দেন তিন বিচারক।
কিন্তু এই রায় মেনে নিতে পারছেন না রিচার্ড। এই রায়ের বিরুদ্ধে আদালতের কাছে আপিল করেছেন তিনি। আদালত আবেদন মঞ্জুর না করলে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাবেন বলে জানিয়েছেন।
এসআইএস/এমকেএইচ