হঠাৎ করেই তা মৃত্যুর খবরে সয়লাব হয়ে গেল গণমাধ্যম। ওপার বাংলার সীমানা ছাড়িয়ে বাংলাদেশেও ভাইরাল হলো কলকাতার অভিনেতা ভিক্টর ব্যানার্জি আর নেই। কিন্তু এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
Advertisement
বরং কলকাতার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই কিংবদন্তী অভিনেতাকে নিয়ে এমন মজা করায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। তারা গুজব প্রচারকারীদের রুচি ও মানসিক সুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
এদিকে অভিনেতা ভিক্টর ব্যানার্জি নিজেই এবার মুখ খুললেন মৃত্যুর গুজবে। মজার ছলে তিনি বললেন, ‘ভুয়ো মৃত্যু সংবাদ আমাকে আরও বেশি জনপ্রিয় করে তুলল। যদিও এটা একটা খারাপ জোক।’
রোববার সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াতে শুরু করে অভিনেতা ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর। যিশু সেনগুপ্ত’র নামে থাকা একটি পেজে ভিক্টরের মৃত্যুর খবর শেয়ার হয়। যদিও সেটা অভিনেতার ভেরিফায়েড পেজ নয়। কিন্তু অনেকেই সেই খবর বিশ্বাস করতে শুরু করেন। অনেকেই অভিনেতার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে তার আত্মার শান্তি কামনা করেন।
Advertisement
এরপর উইকিপিডিয়াতেও তার মৃত্যুর দিন ২৩ জুন লেখা হয়। ফলে খবর আরও বেশি করে ছড়াতে শুরু করে, যদিও পরে উইকিপিডিয়ায় সেই তারিখ মুছে দেওয়া হয়েছে।
যদিও কিছুক্ষণ পরেই জানা যায় তিনি বহাল তবিয়তেই আছেন৷ খবরটি যে ভুয়ো তা একটি ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করে জানান ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ে কেয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পণ্ডিত। তিনি কমেন্টে লিখেছিলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা খবর। আমার বাবা ভালো আছেন। সুস্থ আছেন।’
জানা গিয়েছে ওইসময় অসমের মোরান ব্লাইন্ড স্কুলের বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন ভিক্টর। বর্তমানে ৭২ বছর বয়স ভিক্টরের। সেন্ট জেভিয়ার্সের সাহিত্যের এই ছাত্র পরবর্তীকালে পড়াশোনা করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সিনেমা জগতে এসে তাবড় সব পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। সত্যজিত রায়, মৃণাল সেন, শ্যাম বেনেগাল, জেমস আইভোরির মতো বিশ্বখ্যাত পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।
এলএ/এমকেএইচ
Advertisement