আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনো কুটনৈতিক সম্মেলনের মতই হয়েছে বিষয়টা। বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডস সংবাদ সম্মেলনে বসে দারুণ প্রশংসা করলেন আফগানিস্তান ক্রিকেটের। তাদের উন্নতি দেখে খুব খুশি বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ। অন্যদিকে আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নাইব উচ্চসিত প্রশংসা করলেন বাংলাদেশের। বিশেষ করে সাকিব আল হাসান এবং এই বিশ্বকাপে অসাধারণ লড়াকু মানসিকতা প্রদর্শণ করার জন্য।
Advertisement
কিন্তু দুই দল প্রতিপক্ষকে যতই প্রশংসায় ভাসাক না কেন, এসব কথার মধ্যেই যে উত্তপ্ত লড়াই বিদ্যমান, তা কে অস্বীকার করতে পারবে? সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে তো নিজেদের পশতুন ভাষায় আফগান অধিনায়ক বলেই দিলেন, ‘আমরা নিজেরা তো ডুবছিই, এবার বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে ডুবতে চাই।’
কী মারাত্মক কথা! নিশ্চিত, লড়াইয়ের বারুদ ভর্তি করেই আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাম্পশায়ারের রোজবোলে খেলতে নামবে আফগানরা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তারা কেমন খেলেছে সেটা ভুলে গিয়ে, ভারতের বিপক্ষে কিভাবে খেলেছে সেটা মাথায় নিয়েই খেলতে নামবে আফগানিস্তান। তারওপর, রোজ বোল হচ্ছে পুরোপুরি স্পিন বান্ধব। রশিদ-মুজিব-নবিরা এখানে বল ঘোরালে বাংলাদেশের জন্য বিপদই হতে পারে।
সে হিসেবে আজ থেকেই বলতে গেলে বাংলাদেশের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের নকআউট পর্ব শুরু হয়ে গেরো। সেমিফাইনালে যেতে হলে বাকি থাকা তিন ম্যাচেই জিততে হবে। দুটিতে জিতলেও বাংলাদেশের সামনে সম্ভাবনা থাকবে। টাইগাররা যে ম্যাচগুলোতে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ইংল্যান্ডে গেলো বিশ্বকাপ খেলতে, তার মধ্যে আফগানিস্তান ম্যাচও অন্যতম।
Advertisement
রোজবোলে আজ জিততে পারলেই সেমির সম্ভাবনা টিকে থাকবে। যদি হেরে যায়, তাহলে আজই বিশ্বকাপের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাবে। সে হিসেবে আফগানিস্তানের ম্যাচটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য নকআউট। সামনের প্রতিটি ম্যাচই নক আউট, জিতলে টিকে থাকবে..., হারলেই বিদায়।
আইএইচএস/পিআর