খেলাধুলা

ব্রাজিলকে বিদায় করে দিলো স্বাগতিক ফ্রান্স

গ্রুপ পর্বেই বেশ সংগ্রাম করতে হয়েছিল ব্রাজিলকে। তবে গ্রুপে তৃতীয় হওয়াদের মধ্যে সেরা অবস্থানে থেকেই শেষ ষোলো (দ্বিতীয় রাউন্ড) নিশ্চিত করেছিল ব্রাজিলের নারী ফুটবলাররা। কিন্তু নারী বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর বাধা আর টপকাতে পারেনি পেলে-নেইমারদের দেশের নারী ফুটবলাররা।

Advertisement

স্বাগতিক ফ্রান্সের হাতেই বিদায় নিতে হয়েছে মার্তাদের। অতিরিক্ত সময়ে ফ্রান্স অধিনায়ক আমান্দিনে হেনরির গোলেই ২-১ ব্যবধানে হেরে বিদায়ঘণ্টা বেজে যায় ব্রাজিলের। সে সঙ্গে নরওয়ে, ইংল্যান্ড এবং জার্মানির পর কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করলো ফ্রান্স।

প্রথমার্ধে লড়াই ছিল সমানে-সমান। কেউ কারও চেয়ে এগিয়ে কিংবা পিছিয়েও ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল বের করতে মরিয়া হয়ে ওঠে দুই দলের ফুটবলাররা। যার ফলশ্রুতিতে ম্যাচের ৫২তম মিনিটে গিয়ে ব্রাজিলের জাল কাঁপান ফ্রান্সের ভ্যালেরিয়ে গাউভিন।

গোল হজম করে সেটা পরিশোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে ব্রাজিল। এবং ১১ মিনিট পর গিয়ে সফলও হয়। এ সময় ফ্রান্সের জাল কাঁপিয়ে দেন ব্রাজিলের থিয়াসা।

Advertisement

১-১ গোলে ড্র দিয়ে শেষ হয় নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা। ফলে জয়ী দল নির্ধারণে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। এবার ফ্রান্সকে খেলার ১০৭তম মিনিটে সোনালি মুহূর্তটা উপহার দেন আমান্দিনে হেনরি। কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেন কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিজয়ী দল মুখোমুখি হবে ফ্রান্সের।

ম্যাচের পর ফ্রান্স কোচ কোরিনে দিয়াক্রে বলেন, ‘সত্যিই স্নায়ুর উত্তেজনার একটি ম্যাচ ছিল। খুবই টেন্সি। বিশেষ করে প্রতিপক্ষ যখন একটি প্রতিষ্ঠিত শক্তি। কিন্তু আমরা কোনোভাবেই খেলা ছেড়ে দিইনি এবং শেষ পর্যন্ত তাদেরকে হারাতে পেরেছি।’

ভালো খেলে হেরে যাওয়া কারণে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন ব্রাজিলের বিখ্যাত নারী ফুটবলার মার্তা। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের পারফরম্যান্স নিয়ে গর্বিত। এটা ঠিক যে, শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে গেছি আমরা। কিন্তু দুর্ভাগ্য জিততে পারিনি।’

আইএইচএস/পিআর

Advertisement