খেলাধুলা

দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩০৯ রানের লক্ষ্য দিল পাকিস্তান

সেমির সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই জিততে হবে। সমীকরণটা দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পাকিস্তান দু’দলের জন্যই সমান। হারলেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে।

Advertisement

লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এমন সমীকরণের ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে হারিস সোহেল আর বাবর আজমের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে প্রোটিয়াদের সামনে ৩০৯ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে পাকিস্তান।

প্রোটিয়া অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসির সঙ্গে কয়েন নিক্ষেপে জেতার পর ব্যাট করার সিদ্ধান্তহ পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের উইকেটের চারদিকে পিটিয়ে অসাধারণ খেলে যাচ্ছিলেন দুই পাক ওপেনার ফাখর জামান এবং ইমাম-উল হক।

১৪.৫ ওভার পর্যন্ত টিকলেন দুই ওপেনার। লুঙ্গি এনগিদি, কাগিসো রাবাদা, ক্রিস মরিস কিংবা আন্দিল পেহলুকাইয়োদের গতির ঝড় কোনো বিপদেই ফেলতে পারেনি পাকিস্তানের দুই ওপেনারকে। অবশে প্রোটিয়া অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি আক্রমণে নিয়ে আসেন দলের একমাত্র লেগি ইমরান তাহিরকে।

Advertisement

বোলিংয়ে এসে প্রথম ওভারেই পেলেন সাফল্যের দেখা। ওভারের পঞ্চম বলে ফাখর জামান চেয়েছিলেন শট খেলার জন্য। কিন্তু হঠাৎ মাঝ ব্যাটে লেগে স্লিপে ক্যাচ উঠে যায় এবং প্রথম স্লিপে সেটি ধরেন হাশিম আমলা। এ সময় ফাখর ছিলেন ৫০ বলে ৪৪ রানে। ৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে একটি ছক্কাও মারেন তিনি।

ওপনিং জুটি ভাঙার পর ইমরান তাহিরের লেগ স্পিন ভেলকি অব্যাহত থেকেছে তারপরও। নিজের চতুর্থ ওভারে ইমরান ফিরিয়ে দিলেন পাকিস্তানের আরেক ওপেনার ইমাম-উল হককে। তিনি আউট হন ৫৮ বলে ৪৪ রান করে।

দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরলেন ইমরান নিজেই। নিজের বলেই নিজের ক্যাচ। এক প্রকার ঝাঁপিয়ে পড়েই উইকেটের ওপর এক হাতে বলটি তালুবন্দী করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই লেগ স্পিনার। এরপরই পাগলের মত ছুটলেন তিনি, উদযাপন করলেন উইকেট পাওয়ার আনন্দ।

ইমাম-উল হক আউট হয়ে যাওয়ার পর মাঠে নামেন মোহাম্মদ হাফিজ। বাবর আজমের সঙ্গে জুটি বাধেন তিনি। ৪৫ রানের জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তারা। ৩৩ বলে ২০ রান করে এইডেন মারক্রামের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান মোহাম্মদ হাফিজ। এরপরই প্রোটিয়াদের সামনে পাহাড়ের মত দাঁড়িয়ে যান হারিস সোহেল এবং বাবর আজম জুটি। দু’জন মিলে গড়েন ৮১ রানের জুটি। দলীয় ২২৪ রানের মাথায় আউট হয়ে যান বাবর আজম। ৮০ বলে তিনি করেন ৬৯ রান। ৭৬টি বাউন্ডারির মার মারেন তিনি।

Advertisement

এরপর ইমাদ ওয়াসিমকে নিয়ে জুটি বাধেন হারিস সোহেল। এ দু’জনের ব্যাটে গড়ে ওঠে ৭১ রানের জুটি। ১৫ বলে ২৩ রান করেন ইমাদ ওয়াসিম। পরের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন শুধু আসা যাওয়ার মিছিলে।

আট নম্বরে ব্যাট করতে নামেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। ২ বলে ২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ইনিংস শেষ হওয়ার খানিক আগে ৫৯ বলে ৮৯ রান করে আউট হন হারিস সোহেল। ৯টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০৮ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।

প্রোটিয়া পেসার লুঙ্গি এনগিদি ৬৪ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ইমরান তাহির নেন ২ উইকেট। ১ উইকেট করে নেন আন্দিল পেহলুকাইয়ো এবং এইডেন মারক্রাম।

আইএইচএস/পিআর