সৌদি আরবের নাজরান প্রদেশে ইয়েমেনের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা আটজন সৌদি সেনাকে স্নাইপার দিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে। ইয়েমেন সীমান্ত সংলগ্ন দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওই প্রদেশটির আল-সাদিস এলাকায় শনিবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। ইয়েমেনের আরবি ভাষার টিভি নেটওয়ার্ক আল-মাসিরাহ সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
Advertisement
এদিকে ইয়েমেনের হাজ্জাহ প্রদেশেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে সৌদি আরব ও সুদানের দুষ্কৃতিকারীতের ওপর ইয়েমেনের নিরাপত্তা বাহিনী অন্তত দুটি জেলজাল-১ ক্ষেপণাস্ত্র এবং একটি গ্রাড ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। হামলায় অনেকের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া গতকাল শনিবার সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনের হোদেইদাহ প্রদেশের আল-তাহিতা অঞ্চলের আল জুবালিয়া এলাকায় ইয়েমেনের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর ব্যাপক হামলা চালায়। তবে ইয়েমেনের নিরাপত্তা বাহিনী বলছে, তারা ওই হামলা প্রতিহত করেছে।
সামরিক একটি সূত্র বলছে, আল জুবালিয়ায় ইয়েমেনের সেনাবাহিনী এবং পপুলার কমিটির ঘাঁটিতে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ভয়াবহ হামলা অব্যাহত রেখেছে। তবে সৌদির সেসব হামলায় ইয়েমেনের নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা আক্রমণে হামলাকারীদেরও অনেকে নিহত হয়েছেন।
Advertisement
২০১৫ সালের মার্চে সৌদি আরব ও তাদের আরও কিছু আঞ্চলিক মিত্রকে নিয়ে ইয়েমেনে সামরিক হামলা শুরু করে। দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মনসুর হাদিকে ফের ক্ষমতায় আনার লক্ষ্যে তারা এই হামলা চালায় তারা। যাতে করে হাদির সরকার পুনরায় ক্ষমতায় এসে হুথি বিদ্রোহীদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়।
বৈশ্বিক দ্বন্দ্ব কিংবা যুদ্ধ সংক্রান্ত অলাভজনক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আর্মড কনফ্লিকড লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডাটা প্রজেক্ট (এসিএলইডি) তাদের করা সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানাচ্ছে, সৌদি নেতৃত্বাধীন এই যুদ্ধে ইয়েমেনের ৫৬ হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
সৌদির এই একতরফা সামরিক হামলায় দেশটির হাসপাতাল, স্কুল ও কারখানাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। জাতিসংঘ ইতোমধ্যে বলেছে, খাবারের অভাবে আনুমানিক আড়াই কোটি মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে। ইউনিসেফ বলছে, এই সময়কালে খাবার না পেয়ে দেশটির ৮৫ হাজার শিশু মারা গেছে।
এসএ/পিআর
Advertisement