কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বিরোধের জেরে কলেজ পড়ুয়া ভাগনেকে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছেন মামা ও তার স্বজনরা।
Advertisement
শনিবার সকালে উপজেলার দেহুন্দা ইউনিয়নের ভাটিয়া নামাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভাগনে সোহেলকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোহেল একই গ্রামের গাংপাড়ার মৃত আলী আক্কাসের ছেলে এবং হোসেনপুর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, গত শুক্রবার বাড়ির সীমানা নিয়ে সোহেলের মামা খায়রুল ইসলাম ও চাচাতো মামা ফাইজুল কবিরের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনা নিয়ে ফাইজুল ও তার পরিবারের লোকজন সোহেলকে দায়ী করে ক্ষুব্ধ হয়।
শনিবার সকালে সোহেল তার নানার বাড়িতে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে চাচাতো মামা ফাইজুল কবিরের বাবা চাঁন মিয়া সোহেলকে তার ঘরে ডেকে নেয়। এ সময় ঘরের দরজা বন্ধ করে ফাইজুল (৩৩) ও তার ছোট ভাই শামীম (২০) সোহেলকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। আশপাশের লোকজন চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। তার পিঠে ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাত রয়েছে।
Advertisement
আহত সোহেলের বড় ভাই সাজ্জাত আলম বলেন, আমরা কিশোরগঞ্জ শহরে থাকি। গ্রামের বাড়িতে বিরোধের বিষয়ে কিছুই জানি না। আমার ছোট ভাই নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে হামলার শিকার হয়। এ ব্যাপারে করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে করিমগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
নূর মোহাম্মদ/এএম/পিআর
Advertisement