আগামী অর্থবছরের (২০১৯-২০) প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে দেশের নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার খরচ বাড়বে। সেই তুলনায় সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবেন বিত্তশালীরা।
Advertisement
রোববার (২৩ জুন) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে সিপিডি বাজেট ডায়ালগ ২০১৯ : অ্যান অ্যানালাইসি অব দ্য ন্যাশনাল বাজেট ফর ২০১৯-২০’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে প্রস্তাবিত বাজেট বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য তুলে ধরেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। প্রতিবেদনে প্রস্তাবিত বাজেটের কড়া সমালোচনাও করা হয়।
তাতে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের সঙ্গে তুলনা করলে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি ও এ সংশ্লিষ্ট খাতে বরাদ্দ বেড়েছে। তবে সরকার তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা সব ক্ষেত্রে মানা হয়নি। ইশতাহরে সরকার কৃষকদের বন্ধকমুক্ত ঋণ দেয়ার দেয়ার কথা বলেছিল, তবে বাজেটে সে বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি।
বাজেটে সরকার ‘কৃষি বীমা’ চালুর যে প্রস্তাব করেছে, সেটিকে সাধুবাদ জানিয়ে এটির দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
Advertisement
২০০৯-১০ অর্থবছরের সঙ্গে তুলনা করে সিপিডি বলছে, প্রস্তাবিত বাজেটের আকারে বরাদ্দ কমেছে। ওই সময় মোট বাজেটের ১২ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ ছিল। আগামী অর্থবছরে বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৭ শতাংশ।
বিশ্লেষণে বলা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের মোট বাজেটের যত অংশ স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ ছিল, ২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তার চেয়ে কমেছে। জলবায়ু পরিবর্তনেও কম বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ বেড়েছে। তবে তাতে কোনো নতুনত্ব নেই। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বেড়েছে। এছাড়া জিডিপির প্রবৃদ্ধি যে হারে হচ্ছে, সেই হারে বাড়ছে না উল্লেখ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত এবং প্রতিরক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান, সিপিডির বিশেষ ফেলো ও অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এমপিসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
পিডি/এমএমজেড/জেআইএম