উপমহাদেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
Advertisement
তারা বলেছেন, ১৭৫৭ সালের এই দিনে ভাগীরথী নদীর তীরে অস্তমিত হয়েছিল বাংলার স্বাধীনতার সূর্য। ১৯২ বছর পর ১৯৪৯ সালের একই দিনে বাংলার মানুষের মুক্তি আর অধিকার আদায়ের জন্য গঠিত হয় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। পুরান ঢাকার বিখ্যাত রোজ গার্ডেনে এ দলটির জন্মলাভের মধ্য দিয়েই রোপিত হয়েছিল বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজ।
রোববার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে তারা এসব কথা বলেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, মজলুম জনেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ, শামসুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে চলা ও গণতান্ত্রিকভাবে জন্ম নেয়া মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী এই দলটি উপমহাদেশের রাজনীতিতে গত সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে অবিভাজ্য ও অবিচ্ছেদ্য সত্তা হিসেবে নিজেদের অপরিহার্যতা প্রমাণ করেছে। এ দেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী প্রচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগের ভূমিকা প্রত্যুজ্জ্বল।
Advertisement
তারা বলেন, রাজনীতিতে মতপার্থক্য থাকবে, মতবিরোধও থাকবে তবু আমাদের সকলের চূড়ান্ত লক্ষ্য হতে হবে দেশ-জাতি ও গণতন্ত্র। বাংলাদেশ ন্যাপ রাজনৈতিক সহ-অবস্থানে ও গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাস করে বলেই আওয়ামী লীগের জন্মদিন বা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রত্যাশা করে একটি সুন্দর-সফল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে প্রবীণ দল হিসাবে তারা আরও বেশি এগিয়ে আসবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
নেতৃদ্বয় আওয়ামী লীগের জন্মদিনে দলটির সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অগণিত নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতা রক্ষায় এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক মতবিরোধ ও মতপার্থক্য থাকার পরও সকল দলের সমন্বয়ে অচিরেই জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হবে।
তারা একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ, দলের প্রাণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের অমর স্মৃতির প্রতি গভীরতম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং আজকের নেতৃত্বের সুস্থতা ও সফলতা কামনা করেন।
কেএইচ/বিএ/জেআইএম
Advertisement