রাজধানীর গ্রিন রোডে অভিযান চালিয়ে ১৬ ফার্মেসিকে মোট ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ও র্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত বৃহস্পতিবার এ অভিযান চালানো হলেও শনিবার রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
Advertisement
অভিযানে ১০টি ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া যায়। জব্দ করা হয় ২৫ লাখ টাকার ওষুধ। এছাড়াও ৬টি ফার্মেসি থেকে আনরেজিস্টার্ড ওষুধ জব্দ করা হয়। অভিযানে ১৪ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, নকল, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি বন্ধে অধিদফতর নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। অভিযানে এ ধরনের অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে ফার্মেসি সিলগালা, আর্থিক জরিমানা ও গ্রেফতার করা হচ্ছে।
তদুপরি সম্প্রতি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের এক সেমিনারে বলা হয়, শতকরা ৯৩ ভাগ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রয়েছে এবং তা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত ও প্রচারিত হলে স্বাস্থ্য খাতে তোলপাড় শুরু হয়।
Advertisement
ওই ঘটনার পর অধিদফতরের মহাপরিচালকের নির্দেশে রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন ফার্মেসিতে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এ অভিযানের অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার অধিদফতর যৌথভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, ওষুধের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। যেকোনো ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ থাকতে পারে কিন্তু তা নির্দিষ্ট একটি কনটেইনারের ওষধ বিক্রয়ের জন্য নয় লিখে পৃথক স্থানে সরিয়ে রাখার নিয়ম রয়েছে।
এমইউ/বিএ/জেআইএম
Advertisement