খেলাধুলা

বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত নয় আফগানিস্তান : রশিদ

এবারের বিশ্বকাপে প্রথম দল হিসেবে গতকাল টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েছে আফগানিস্তান। নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে ভারতের ১১ রানে হেরে বিদায় ঘণ্টা বাজে তাদের। বোঝাই যাচ্ছে, যেরকম রোমাঞ্চ আর উদ্দীপনা নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিল আফগানিস্তান এখন মোটেও তা নেই। আসরে একমাত্র জয়হীন দলও তারা। বলার মতো নেই কোনো ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সও।

Advertisement

আফগানিস্তানের মতো বাজে সময় কাটাচ্ছেন দলের সেরা বোলিং অলরাউন্ডার রশিদ খানও। বিশ্বকাপের আগে সাকিব আল হাসানের কাছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের মুকুট হারানো এই লেগি এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলে শিকার করেছেন মোটে ৪ উইকেট। গত ইংল্যান্ড ম্যাচে তো আরও বড় লজ্জার রেকর্ড গড়েন তিনি। রুট- মরগ্যানদের বিপক্ষে ৯ ওভার বল করে ১১০ রান খরচ করেন তিনি। যা বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে খরুচে বোলিং। আর পুরো ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয়।

মাঠের বাইরেও খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই আফগানিস্তান ক্রিকেট। চোট দেখিয়ে বিতর্কিতভাবে দলের সেরা ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদকে বাদ দেয়া, কোচ ফিল সিমন্স ও সাবেক প্রধান নির্বাচক দৌলত আহমদজাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি! সব মিলিয়ে বেশ অস্বস্তিকর সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আফগান ক্রিকেট।

রশিদ খান মনে করেন দলের এই ব্যর্থতার পেছনে প্রধান দায়, তাদের যথেষ্ট প্রস্তুতির অভাব। বিশ্বকাপ শুরুর আগে দলের প্রধান নির্বাচক নিজেদের শেষ চারে দেখলেও রশিদ বলেছেন, 'আমার মনে হয় না আমরা এই টুর্নামেন্টের জন্য যথাযথ প্রস্তুত। এটা অনেক বড় এক মঞ্চ। এখানে উত্থান-পতন আছে। কিন্তু আমরা এখান থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমাদের এক বা দুই ম্যাচ জেতা উচিত ছিল। আমাদের সামনে সেই সুযোগ এসেও ছিল। কিন্তু আমাদের অভিজ্ঞতার অভাবে আমরা হেরে গেছি। আশা করছি, সময়ের পরিক্রমায় আমরা তা অর্জন করবো।'

Advertisement

বিশ্বকাপ শুরুর পর একাধিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়া আফগান ক্রিকেট বিশ্বকাপের আগেও পড়ে সমালোচনার মুখে। বিনা কারণ দেখিয়ে হঠাৎ করেই পরীক্ষিত আসগর আফগানকে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেয় বোর্ড। দায়িত্ব তুলে দেয় গুলবদিন নাইবের কাঁধে। তখন এ নিয়েও বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ঘূর্ণি জাদুকর রশিদ।

নিজের জায়গায় এখনো অটল তিনি। দলের ব্যাপারে তিনি বলেছেন, আমি দলের আমার অবস্থান সম্পর্কে জানি। যখন অধিনায়ক পরিবর্তন হয় হ্যাঁ আমি প্রকাশ্যে এর বিরোধিতা করি। আমার আগের অধিনায়ককে সমর্থন বা অন্য কাউকে খুশি করার জন্য আমি এ কাজ করিনি। আমি করেছিলাম আফগানিস্তান ক্রিকেটের জন্য।

এরপর তিনি আরও বলেন, যদি কেউ আমার আফগানিস্তান ক্রিকেটকে নষ্ট করতে চায়, তখন আমার দেখার সময় নেই সে কে! ক্রিকেটই একমাত্র উপাদান যা আমাদের মানুষের মুখে হাসি ফোটায়। তবে আমি বলবো, বিশ্বকাপের আগে এতো বড় সিদ্ধান্ত নেয়া মোটেও সমীচীন হয়নি। যখন আমি মাঠে থাকি আমি মনে করি না আমি আমার অধিনায়ক অথবা বোর্ডের জন্য খেলছি। আমি আফগানিস্তানের জন্য খেলি। দেশ বাদে আমার কাছে আর কিছু গুরুত্বপূর্ণ নয়।

এসএস/জেআইএম

Advertisement