মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুকের বিরুদ্ধে ওই উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অসীম চন্দ্র বণিককে অপদস্থ ও দেখে নেয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
জানা গেছে, গত ১৮ জুন (মঙ্গলবার) রাত ৮টায় উপজেলার ভবানীগঞ্জ বাজারে বাস চাপায় ইব্রাহিম আলী (৬০) নামে ফুটপাতের এক ফল বিক্রেতার মৃত্যু হয়। পরদিন পরিবহন শ্রমিকরা ফুটপাতের কিছু দোকান ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে উপজেলা প্রশাসনে এক জরুরি সভায় ফুটপাতের সব দোকান স্থানান্তর ও অবৈধ গাড়ি পার্কিং সরানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান মোঈদ ফারুকের মালিকানাধীন জুড়ী নিউ মার্কেটের সামনে সিএন্ডবির জায়গায় বেশকিছু অবৈধ দোকান পাট ও ফুটপাত রয়েছে, যা থেকে প্রতি মাসে এক থেকে দেড় লাখ টাকা ভাড়া আদায় করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনা, দোকানপাট ও ফুটপাত উচ্ছেদের উদ্যোগ নেন ইউএনও। আর তখনই বাঁধা হয়ে দাঁড়ান উপজেলা চেয়ারম্যান। এছাড়া উপজেলা উন্নয়ন তহবিল (এডিপি ও রাজস্ব) ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বরাদ্দ ৩৮ লাখ টাকার ১৬টি কাজ উপজেলা চেয়ারম্যান তার পছন্দের ১৯ জন ঠিকাদারের মধ্যে বণ্টন করতে চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা সিডিউল বিক্রি করতে বাঁধা দেন। ইউএনও অবৈধ উপায়ে না গিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে টেন্ডার আহ্বান করেন। এ দুই ঘটনায় ইউএনও অসীম চন্দ্র বণিকের ওপর ক্ষিপ্ত হন উপজেলা চেয়ারম্যান।
অসীম চন্দ্র বণিক বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা আইন প্রণয়ন কমিটির প্রণেতা। তিনিই যদি আইন ভঙ্গ করেন, তাহলে সাধারণ মানুষ কার কাছে যাবে?
Advertisement
তিনি বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে দশটায় আমার সরকারি বাসভবনের সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও লাঞ্ছিত করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আপনি কেন আমার ফোন ধরলেন না? আপনি আমার ফোন ধরতে বাধ্য।’ পরে আমাকে দেখে নেবে ও সরিয়ে দেবে বলে হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। ঘটনাটি সঙ্গে সঙ্গে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। তাদের সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর থানায় জিডি করব।
এ বিষয়ে জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঈদ ফারুকের সাথে কথা বলতে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জাগো নিউজকে জানান, এ বিষয়ে থানায় এখনো কোন অভিযোগ হয়নি।
রিপন দে/এমএসএইচ
Advertisement