অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারলেও বাংলাদেশের লড়াকু মানসিকতা বেশ সমাদৃত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার রান পাহাড় দেখে ভড়কে যায়নি টাইগাররা। উল্টো দেখিয়েছে কীভাবে শেষে পর্যন্ত লড়াই করে যেতে হয়। নটিংহ্যামে সেই ম্যাচ শেষ হলো ৪৮ ঘণ্টা হয়ে গেল। এরই মধ্যে নটিংহ্যাম ছেড়ে আগামী ম্যাচের ভেন্যু সাউদাম্পটনে পৌঁছে গেছে টাইগাররা। এখানেই আগামী ২৪ জুন আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়বে মাশরাফির দল।
Advertisement
গতকাল গন্তব্যস্থলে পৌঁছালেও আজ আনুষ্ঠানিক অনুশীলন করছে না দল। চলবে ঐচ্ছিক অনুশীলন। জানা গেছে, দলের ৪-৫ জন ক্রিকেটার যোগ দিতে পারেন এই অনুশীলন পর্বে। বাকি সবাই থাকবে বিশ্রামে। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর দলের সার্বিক অবস্থা কী তা জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
টিম হোটেলের সামনে গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'আপাতত দুজনের ইনজুরি সমস্যা আছে। ধীরে ধীরে সেরে উঠছে ওরা। আর যেহেতু, লম্বা এক সফর গেল এখন সবাই ক্লান্ত। আজ তাই ঐচ্ছিক অনুশীলন। আশা করছি, যারা ইনজুরির মধ্যে আছে তারা খুব তাড়াতাড়ি সেরে উঠবে।
এসময় অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দীনকে নিয়েও কথা বলেন নান্নু। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের পরপরই গুঞ্জন ওঠে, ইচ্ছে করেই ইনজুরির অজুহাতে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ থেকে সরে দাঁড়ান সাইফউদ্দীন। তবে তিনি এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি। শুধু বললেন, 'ও ইনজুরিতে। কিন্তু মেজর ইনজুরি না। আসলে এসব ইনজুরির কারণে শরীর মাঝে-মধ্যে খারাপ করে। অনেক আগে থেকেই ওর পিঠের ব্যথা। তবে আমার মনে হয়, এরপরের ম্যাচের আগেই ও ফিট হয়ে যাবে।
Advertisement
এদিকে টাইগারদের আগামী ম্যাচের প্রতিপক্ষ আফানিস্তানকে নিয়ে বাড়তি কোনো সতর্কতা আছে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে নান্নু আরও বলেন, 'সব দলকেই সতর্কতার সঙ্গে নিতে হবে। বিশ্বকাপে কাউকে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। সেই হিসেবে প্রতিটা ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটা ম্যাচেই আপনাকে শতভাগ দিতে হবে। সব বিভাগে সফলতা দরকার।'
নবী-রশিদদের নিয়ে আলাদা কোনো পরিকল্পনা আছে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে নান্নু তার সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, 'প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় হিসেবে যেই থাকুক না কেন, এখানে তো সবার বিপক্ষেই খেলতে হবে। প্রস্তুতি তো আমরা আগে থেকেই নিয়েছি। আমাদের সবার ভালো প্রস্তুতি নেয়া আছে।'
এআরবি/এসএস/এমকেএইচ
Advertisement