বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা মুমিনুল হক চৌধুরীর জানাজা নিয়ে ইসলামী ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাঁচ শিবিরকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর শ্বশুর তিনি।
Advertisement
শনিবার বাদ জোহর নগরের চকবাজারের চট্টগ্রাম কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার রাতে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান জামায়াত নেতা মুমিনুল হক চৌধুরী। শনিবার বাদ জোহর প্যারেড ময়দানে জানাজা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু জানাজায় অংশ নিতে আসা জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের ঠেকাতে দুপুর থেকেই প্যারেড ময়দানের আশপাশে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
জানাজার ঠিক আগ মুহূর্তে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ছাত্রলীগের একটি মিছিল নিয়ে জানাজার দিকে এগুতে থাকলে দু'পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশের বাধার কারণে ছাত্রলীগ মাঠে প্রবেশ করতে না পারলেও জানাজায় অংশগ্রহণকারী মুসল্লিদের লক্ষ্য করে ছাত্রলীগ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ছাত্রশিবিরের দাবি, ছাত্রলীগের ছোড়া ইটের আঘাতে জানাজায় আসা অন্তত পাঁচ শিবিরকর্মী আহত হন। এ সময় পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
Advertisement
চকবাজার থানার ওসি নুরুল হুদা জাগো নিউজকে বলেন, মাওলানা মুমিনুল হকের জানাজা শুরুর আগে চট্টগ্রাম কলেজের কিছু ছাত্র মিছিল নিয়ে গেলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পুলিশ মুসল্লি ও মিছিলকারী ছাত্রদের মাঝামাঝি অবস্থান নিয়ে কোন ধরনের সংঘাত করতে দেয়নি। পরে মিছিলকারীদের ধাওয়া দিয়ে জানাজা সম্পন্ন করা হয়।
আবু আজাদ/জেএইচ/এমকেএইচ