শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ব্যাংক ডাকাত ও ঋণখেলাপিদের মাফ করে দিতে দেশের শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের কষ্টার্জিত অর্থব্যয় হবে। আর শ্রমিকরা রেশনিং, চিকিৎসা ও বাসস্থানের জন্য বরাদ্দ চেয়ে হয়রান হবে। এ অবস্থা চলতে দেয়া যায় না।
Advertisement
সরকারের গণবিরোধী ও শ্রমিকবিরোধী পদক্ষেপ রুখে দিতে শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি জনতার ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।
গার্মেন্ট শ্রমিকদের রেশনিং ও আবাসনের জন্য বাজেটে বরাদ্দের দাবিতে এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাখ্যান করে শুক্রবার গার্মেন্ট শিল্পাঞ্চলে পথসভা ও পদযাত্রা কর্মসূচিতে তারা এসব কথা বলেন।
গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের নেতৃবৃন্দ তিনটি দলে ভাগ হয়ে ঢাকা-গাজীপুর-নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন শিল্পাঞ্চল ও শ্রমিক বসতি এলাকায় উক্ত কর্মসূচিসমূহে ট্রাকযোগে অংশগ্রহণ করেন। কর্মসূচির উদ্বোধনী সমাবেশ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হয়।
Advertisement
গার্মেন্ট টিইউসির কার্যকর সভাপতি কাজী রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, কেন্দ্রীয় নেতা সাদেকুর রহমান শামীম, মঞ্জুর মঈন, আঞ্চলিক কমিটির নেতা হাবিব হাসিবুর রহমান, রিনা আক্তার প্রমুখ।
সমাবেশ থেকে প্রস্তাবিত বাজেটকে শ্রমিকবিরোধী ও গণবিরোধী বলে আখ্যায়িত করা হয়। সমাবেশে গার্মেন্ট শ্রমিকদের রেশনিং ও আবাসনের জন্য বাজেটে বরাদ্দেরও দাবি জানানো হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিকদের জন্য বাজেটে কিছু নাই। যারা জীবনীশক্তি ক্ষয় করে দেশের ৮৪ ভাগ রফতানি আয় করে সেই শ্রমিকদের খাদ্য-আবাসন-চিকিৎসা-শিক্ষার জন্য সরকার-প্রতিশ্রুত বরাদ্দ বাজেটে রাখা হয়নি। অন্যদিকে মালিকদের জন্য বাজেটে আছে উদার হস্তে বরাদ্দ। তিনি বলেন, অন্যরা ৩৫ শতাংশ হারে কর্পোরেট ট্যাক্স দিলেও গার্মেন্ট মালিকরা দেন ১২ শতাংশ। এ বছর এ কর অবকাশ সুবিধার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। বাজেটে সেটা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
তারা আরও বলেন, সরকার নির্বাচনের আগে একবার, নির্বাচনের পরে দুবার মালিকদের আর্থিক প্রণোদনা দিয়েছে। চার ধরনের রফতানিতে গার্মেন্ট শিল্পের মালিকরা ৪ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা পান। এবার বাজেটের প্রস্তাবে সকল ধরনের পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে মালিকদের ১ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণা এসেছে।
Advertisement
সমাবেশ শেষে একটি ট্রাকমিছিল মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা হয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, নাখালপাড়া, উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিণখান, আশুলিয়া, সাভার ও হেমায়েতপুর পরিভ্রমণ করে এবং এসব স্থানে পথসভারও আয়োজন করে। একই সময়ে নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে ফতুল্লা, কাঠেরপুল, শিবু মার্কেট হয়ে কাঁচপুর পর্যন্ত এবং টঙ্গী থেকে বড়বাড়ি, চৌরাস্তা হয়ে কালিয়াকৈর পর্যন্ত একই কর্মসূচি পালিত হয়। পথসভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি স্থানীয় শ্রমিক নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রাখেন।
এফএইচএস/এমএআর/এমকেএইচ