পটুয়াখালীতে হাফেজি মাদরাসায় সুমন হোসেন (১৩) নামে এক ছাত্রকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে পাষণ্ড শিক্ষক আহসান উল্লাহ। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সদর উপজেলার হেতালিয়া বায়তুল আহাদ আকন বাড়ি হাফেজি মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
বাবা রহিম চৌকিদার জানান, সুমনকে দুই বছর আগে তিনি ওই মাদরাসায় ভর্তি করান। বর্তমানে সে কোরআন শরিফ নজরানা পড়ছে।
সুমনের সহপাঠী সাব্বির হোসেন জানান, বুধবার (১৯ জুন) হুজুরের (আহসান উল্লাহ) রুম থেকে দুই হাজার টাকা চুরি হয়। হুজুর সন্দেহ বশত বৃহস্পতিবার সকালে তাদের থাকার রুমে জোড়াবেত নিয়ে ঢুকে সুমনকে হাত-পা বেঁধে পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে বেত ভেঙে গেলে তিনি রুম থেকে লোহার রড নিয়ে এসে সুমনকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। এ সময় যাতে রুমের চিৎকার বাইরে না যায় তার জন্য আমাদের সবাইকে জোরে জোরে পড়তে বলেন। এক পর্যায়ে সুমন অজ্ঞান হয়ে পড়লে হুজুর তাকে ফেলে মাদরাসা থেকে বেরিয়ে যান। হুজুরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান সুমনের সহপাঠীরা।
মা রেহেনা বেগম জানান, সহপাঠী সাব্বির হোসেন বিষয়টি জানালে তারা ওই মাদরাসা গিয়ে সুমনকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে পল্লী চিকিৎসক মতিউর রহমানের কাছে নিয়ে যান। এ সময় তিনি (পল্লী চিকিৎসক) বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান।
Advertisement
তিনি আরও জানান, পুলিশ তাৎক্ষণিক হুজুরকে গ্রেফতার করে এবং ছেলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ভ্যানে করে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এ ঘটনায় তিনি নিজে বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন (মামলা নং ৪৬)।
পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সেলিম মাতুব্বর জানান, লোহার রড দিয়ে নির্যাতনের ফলে সুমনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়েছে। তবে বর্তমানে সে আশঙ্কামুক্ত।
পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মাদরাসা শিক্ষার্থী সুমনকে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষক আহসান উল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এমএমজেড/এমএস
Advertisement