জাতীয়

ডিএনসিসির সম্প্রসারিত এলাকার উন্নয়ন নতুন অর্থবছরে

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে সম্প্রসারিত এলাকাসমূহের উন্নয়ন কাজ শুরু হবে। এ জন্য একনেকে শিগগিরই ৪ হাজার ২শ’ কোটি টাকা অনুমোদন হবে। এর আগেই প্রতিটি ওয়ার্ডে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা ডিএনসিসির ফান্ড থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

তিনি বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রশস্ত রাস্তা, ড্রেন, ফুটপাত, কমিউনিটি সেন্টার, খেলার মাঠ, পার্ক, কবরস্থান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ডিএনসিসির সম্প্রসারিত এলাকার দুটি ওয়ার্ড সাবেক সাতারকুল ইউনিয়ন (৪১ নং ওয়ার্ড) ও বাড্ডা ইউনিয়ন (৩৮ নং ওয়ার্ড) পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ওয়ার্ড দুটির বেরাইদ, সাতারকুল, দাদার বাজার, আলী নূর, উত্তর বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায় পথসভায় যোগদান করেন মেয়র। এছাড়া ৩৮ ও ৪১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় যোগদান করেন। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, জনগণকে উন্নয়ন পরিকল্পনায় আরও বেশি করে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে তিনি এই দুটি ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন।

Advertisement

মেয়র বলেন, নিয়ম অনুযায়ী এসব অবকাঠামো নির্মাণের জন্য জায়গা অধিগ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে। অধিগ্রহণের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে এখনই এসব অধিগ্রহণের কাজ শুরু করতে হবে।

দীর্ঘ সময়ের কথা মাথায় রেখে সম্প্রসারিত এলাকাসমূহের উন্নয়নের কথা চিন্তা করতে হবে। তবে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের চাহিদা অনুযায়ী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে বলে জানান মেয়র।

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, বাড়ি বা বাড়ির আশপাশে তিনদিনের বেশি যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ তিনদিনের বেশি জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের বাহক এডিস মশা বংশ বিস্তার করে।

পথসভায় জনগণের মাঝে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক তথ্য সম্বলিত লিফলেট ও স্টিকার বিতরণ করা হয়। পরিদর্শনকালে অন্যদের মধ্যে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম ও শেখ সেলিম, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন এম মনজুর হোসেন, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দিন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মীর নাহিদ আহসান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

এএস/আরএস/এমকেএইচ