জাতীয়

চিংড়ির পেটে লোহার জেলি সাগু!

অধিক মুনাফা লাভের আশায় গলদা চিংড়ির ওজন বাড়ানোর বিভিন্ন কৌশল নিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। ঢাকায় গলদা চিংড়ির চাহিদা বেশি হওয়ার সুযোগ নিয়ে জেলি, সাগু ও পানিসহ বিভিন্ন অপদ্রব্য চিংড়ি মাছের শরীরে ইনজেকশন দিয়ে পুশ করা হচ্ছে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর তিনটি মৎস্য আড়তে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) পরিচালিত ভেজাল বিরোধী অভিযান চালানোর পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গেছে।ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালক র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা এমন অস্বাস্থ্যকর প্রক্রিয়া অবলম্বন করে অধিক মুনাফা লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ভোক্তারা। শুধু তাই নয় অপদ্যব্য মেশানো এ মাছ খেয়ে ভোক্তাদের দুরারোগ্য ব্যাধি হওয়ার আশঙ্খাও রয়েছে।জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত র‌্যাব-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল যাত্রাবাড়ীর তিনটি মৎস্য আড়তে ভেজাল মাছ বিরোধী এ অভিযান পরিচালনা করে। আড়ত তিনটি হলো বুড়িগঙ্গা মৎস্য আড়ত, আল্লাহর দান মৎস্য আড়ত ও আলী মার্কেট মৎস্য আড়ত।র‌্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মাকসুদুল আলম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী এলাকায় ওই তিনটি মৎস্য আড়তে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় প্রায় পাঁচশ কেজি ভেজাল গলদা চিংড়ি জব্দসহ সাত মৎস্য বিক্রেতাকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত আটকৃতদের এক লাখ ৬০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন পবিত্র কুমার (২১), মো. মাসুদ (২৮), মো. জাকির (৩৪), রাশেদ মোড়ল (৩০), জয়দেব নন্দি (২৭), মনিরুজ্জামান (২৯) ও মো. আজিজুল চৌকিদার (৩০)। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ঢাকা শহরের বিভিন্ন বাজারে গলদা চিংড়ি চাহিদা অনেক বেশি। অতি মুনাফা লাভের আশায় দেশের সুমদ্র তীরবর্তী অঞ্চল সাতক্ষীরা, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল এলাকা হতে এ মাছ সংগ্রহ করে।এরপর মাছের ওজন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলি, সাগু ও পানিসহ বিভিন্ন অপদ্রব্য ইনজেকশন দিয়ে পুশ করা হয়। ফলে উক্ত মাছ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়াসহ ব্যাপক স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা থাকে।জেইউ/এএইচ/বিএ

Advertisement