স্বাস্থ্য

বিএসএমএমইউ’র কর্মসূচি শেষ হচ্ছে বুধবার

‘প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা বাজলেই ছুটে যেতাম ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ম্যুরালের সামনে। একে একে ৪০টি মোমবাতি  জ্বালানো হতো। শ্রদ্ধাবনত চিত্তে সেখানে এক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে জাতির জনককে শ্রদ্ধা জানাতাম। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে আর মোমবাতি জ্বলবে না, এক মিনিট নিরবতা কর্মসূচিও পালিত হবে না। গত ৪০ দিনের কর্মসূচিতে বঙ্গবন্ধুকে আবার নতুন করে জেনেছি।’ মঙ্গলবার জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বিএসএমএমইউতে কর্মরত এক চিকিৎসক এসব কথা বলেন।‘রোগীর প্রতি হই আরও যত্নবান’ শ্লোগানকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ৪০ দিনব্যাপি ব্যতিক্রমধর্মী সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান বুধবার শেষ হচ্ছে।জাতির জনকের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ১ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছিল ৪০ দিনব্যাপি কর্মসূচি। আলোচনাসভা, সেমিনার, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, রক্তদান কর্মসূচি, বিনামূল্যে বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রদানসহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে পালিত হয়েছে ৪০দিনের টানা কর্মসূচি। ব্যতিক্রমধর্মী এ আয়োজনে সাড়া দিয়ে ছুটে এসেছেন সরকারের একাধিক মন্ত্রী, সাংসদ ও রাজনীতিবিদ।বিএসএমএমইউ’র ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, বিএসএমএমইউ বঙ্গবন্ধুর নামে দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান। বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকীতে তার জীবনাদর্শকে প্রতিদিন স্মরণ করার মাধ্যমে সকলের মধ্যে প্রকৃত মানবিক মূল্যবোধ জাগিয়ে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারাবদ্ধ করার লক্ষ্যেই বিভিন্ন  কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে কারাবরণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীত্ব ফিরিয়ে দিয়েছেন। পারিবারিক জীবন ত্যাগ করে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।বিএসএমএমইউ’র সকল কার্যক্রম চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণা সবই দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য। তাই বঙ্গবন্ধুর ত্যাগকে মনে করে রোগীদের ভালবেসে তাদের প্রতি যত্নবান করাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বিক মানোন্নয়নের জন্য টানা ৪০দিন প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে।তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নের জন্য কাজের উপযুক্ত কাজের পরিবেশ প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে গত ৪০দিনে দফায় দফায় বৈঠক করে সমস্যা জেনে তা সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।বিএসএমএমইউ’র রেজিষ্ট্রার অধ্যাপক ডা. আসাদুল ইসলাম বলেন, ব্যতিক্রমধর্মী এ আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রজম্মের চিকিৎসকদের কাছে দেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও তিতিক্ষা তুলে ধরা হয়েছে। তার জীবনাদর্শনকে বুকে ধারন করে রোগীর প্রতি তারা আরও বেশী যত্নবান হবেন বলে আশা করছি।বুধবার ৪০দিনব্যাপী কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী  সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সভাপতি অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান।এমইউ/এআরএস/বিএ

Advertisement