জাতীয়

সঞ্চয়পত্রের মুনাফার উৎসে কর দ্বিগুণ করায় কঠোর সমালোচনা মতিয়ার

প্রস্তাবিত বাজেটে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকদের সুদের টাকার ওপর উৎসে কর দ্বিগুণ করায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাঠোর সমালোচনা করেছেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। একই সঙ্গে সঞ্চয়পত্রের ওপর সুদ কমানোয় সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সমালোচনা করে উৎসে কর প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ দাবি জানান তিনি।

এর আগে বাজেটের ভালো দিক তুলে ধরে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আমি এখন একটি স্পর্শকাতর কথা বলব। সেটা হলো- গত পাঁচ-ছয় বছর এত কথা বলার পরও পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের সুদের ওপর সুদ ৯ শতাংশই থাকছে। উনি (অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল) সঞ্চয়পত্রের ওপর ৯ শতাংশ সুদ রাখলেন ঠিকই কিন্তু উৎসে কর ৫ শতাংশের বদলে ১০ শতাংশ করলেন। এই জিনিসটা সমর্থন করতে পারি না। এটা তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্কিম। এর ওপর নির্ভর কর গ্রামের বিধবা থেকে শুরু করে অসহায়, অসচ্ছল নারীরা। উনি (অর্থমন্ত্রী) কেন ওখানে হাত দিলেন যেখানে ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছেন। যেখানে শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছেন। যেখানে সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়াইছেন। যেখানে তাদের গাড়ি কেনার সুযোগ দিচ্ছেন– এরকম অনেক সেক্টরে সুবিধা দিয়ে তারপর গিয়ে অসহায় পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে হাত দিলেন। ওরাও তো কনজ্যুমার (ক্রেতা)। কেন সেখানে আপনি হাত দিতে গেলেন? এটা আমি বুঝতে অক্ষম।

তিনি বলেন, আপনি আমার সেলিং (যত ইচ্ছা কেনা) বাড়াতে দেন না। অন্যদিকে নানানভাবে ব্যবসায়ীদের কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। বাস্তবতা হলো- যেই কালো টাকা আছে, এটাকে কোনো প্রকারে খোয়াড়ে ঢুকানোর কিছু ব্যবস্থা এই সরকার নিয়েছে- এটা আমরা অস্বীকার করব না। কিন্তু আজকে পরিষ্কার বলতে চাই, এ জিনিসটা (সঞ্চয়পত্রের মুনাফার টাকার ওপর উৎসে কর) একটু অর্থমন্ত্রী চিন্তা করবেন। এটা আমার বিশেষ আপিল থাকবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, প্রস্তাবিত বাজেটে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকদের মুনাফার টাকার ওপর উৎসে কর দ্বিগুণ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থাৎ আগে উৎসে কর (চূড়ান্ত দায়) দিতে হতো ৫ শতাংশ, এখন দিতে হবে ১০ শতাংশ। এর আগে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কেটে রাখা হতো।

এইচএস/এএইচ/এমকেএইচ