নতুন নেতৃত্বের অপেক্ষায় রয়েছে টেলিভিশন মাধ্যমের অভিনয় শিল্পীদের সংগঠন ‘অভিনয় শিল্পী সংঘ’। সে লক্ষ্যেই আগামীকাল ২১ জুন অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিলো দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে টিভি মিডিয়ার শিল্পী-কলাকুশলীদের মাঝে বিরাজ করছিলো ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। জমে উঠেছিলো প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণাও।
Advertisement
কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার জানা গেল নির্বাচনটি হচ্ছে না। আদালতের নির্দেশে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
শেখ মো. এহসানুর রহমান, আব্দুল্লাহ রানা ও নূর মুহাম্মদ রাজ্য বাদী হয়ে বেশ কিছু অভিযোগ এনে নির্বাচন স্থগিতের দ্বিতীয় সহকারী আদালতে আবেদন করেন গতকাল বুধবার, ১৯ জুন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ওইদিনই নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সিনিয়র সহকারী জজ মোহাম্মাদ শাফি এই আদেশ দিয়েছেন।
বাদী পক্ষের উকিল এডভোকেট মোহাম্মদ আলী বলেন, তিন নির্বাচন কমিশনার খায়রুল আলম সবুজ, বৃন্দাবন দাশ ও মাসুম আজিজস ও শিল্পী সংঘের সর্বশেষ সভাপতি শহীদুল আলম সাচ্চুসহ মোট ৮ জন বিবাদীকে ১৯ জুন হতে আগামী ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
Advertisement
তবে এমন কোনো নোটিশ পাননি বলে জাগো নিউজকে জানালেন শিল্পী সংঘের সদ্য বিদায়ী সভাপতি শহীদুল আলম সাচ্চু। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন কোনো কিছুই জানি না। কোনো কাগজও পাইনি আদালতের। কাল নির্বাচন না হওয়ার তাই কোনো কারণও দেখছি না।’
নির্বাচন কমিশনার খায়রুল আলম সবুজের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করেও তার সাড়া মেলেনি। ফোনে রিং হলেও ওপাশ থেকে সেটি রিসিভ হয়নি।
এদিকে অভিযোগকারী শেখ মো. এহসানুর রহমান অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের প্রধান অভিযোগ নির্বাচন পূর্ববর্তী বেশ কয়েক মাস ধরে গঠনতন্ত্র বহির্ভূত বেশকিছু কাজ করেছে সদ্য বিদায়ী কমিটি। যার কারণে বর্তমান যে নির্বাচন কমিশন আছে সেটাকে আমরা বৈধ মনে করছি না। তারা বলছে গঠনতন্ত্রের ১৫(৬) ধারা অনুযায়ী নির্বাচন প্রক্রিয়া করা হয়েছে। কিন্তু আদতে গঠনতন্ত্র মানা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ডিরেক্টরস গিল্ড, এক্টরস গিল্ড, প্রডিউসারম গিল্ড ও রাইটার্স গিল্ড- এই চার সংগঠন আলোচনায় বসেছিলাম। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে আরও কয়েকবার আলোচনায় বসেছি। বলেছি, আগের অনিয়ম ভুলে গিয়ে নতুন করে সব শুরু করতে। বাধ্য হয়ে আদালতে রিট করেছি।’
Advertisement
এলএ