আন্তর্জাতিক

আকাশসীমায় ঢুকলেই ভূপাতিত হবে শত্রুর ড্রোন : ইরান

ইরানের আকাশসীমায় ঢোকা একটি মার্কিন ‘স্পাই’ ড্রোন ভূপাতিত করেছে দেশটির এলিট রেভল্যুশনারি গার্ড (আইআরজিসি)। ড্রোনটি দক্ষিণাঞ্চলীয় কুহমোবারাক জেলার কাছে ইরানের আকাশসীমায় প্রবেশের সাথে সাথেই এটি গুলি করে ভূপাতিত করা হয়।

Advertisement

ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি বলেছেন, আকাশসীমা হচ্ছে ইরানের রেড লাইন। কেউ এই রেড লাইন অতিক্রম করলে এর কঠিন জবাব দেয়া হবে। ইরান এর আগেও একই কাজ করেছে বলে জানান তিনি।

রাশিয়ায় আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। আলী শামখানি আরও বলেন, ইরানের হরমুজগান প্রদেশের আকাশে মার্কিন গ্লোবাল হক মডেলের একটি স্পাই ড্রোন প্রবেশ করেছিল এবং আইআরজিসি ওই ড্রোনকে ভূপাতিত করেছে।

তিনি বলেন, আমরা বারবারই বলছি আমরা আমাদের আকাশসীমা সর্বশক্তি দিয়ে রক্ষা করব এবং আমাদের পানিসীমাও একইভাবে নিরাপদ রাখব। তিনি আরও বলেন, আমরা বলেছি কাউকে ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের সুযোগ দেওয়া হবে না। বিমান বা ড্রোন যে দেশেরই হোক না কেন তা ভূপাতিত করা হবে এবং শক্ত জবাব দেয়া হবে।

Advertisement

আইআরজিসির জনসংযোগ বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশকারী যে কোনো শত্রু বিমান বা ড্রোন গুলি করে নামানোর যে নির্দেশ রয়েছে তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

মনুষ্যবিহীন আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক ড্রোন ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় অনেক বেশি উচ্চতায় উড়তে পারে। এটি অনেক বড় এলাকায় যে কোন আবহাওয়াতেই সেখানকার স্পষ্ট ছবি ধারণ করতে পারে। সে কারণেই গুপ্তচরের কাজে ওই ড্রোনটিকে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান। তবে এটি ইরানে প্রবেশের আগেই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে তা ভূপাতিত করা সম্ভব হয়েছে।

তবে বুধবার মধ্যরাতে মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র নেভি ক্যাপ্টেন বিল আরবান বলেন, আজ মার্কিন কোন আকাশযান ইরানের আকাশসীমায় চলাচল করেনি। কিন্তু পরে আবার মার্কিন সেনাবাহিনীর তরফ থেকে বলা হয়েছে যে, তাদের ওই ড্রোনটি আন্তর্জাতিক জলসীমার ওপর দিয়ে যাচ্ছিল।

এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ওই মার্কিন কর্মকর্তা। সাম্প্রতিক সময়ে ওমান উপসাগরে দু'টি তেলের ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। ওই বিস্ফোরণের জন্য ইরানকেই দায়ী করছে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি। কিন্তু এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান।

Advertisement

টিটিএন/পিআর