অতিথি আপ্যায়নে উপমহাদেশের দেশগুলোর জুরি নেই। আর তাই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্ডানকে যেন আপ্যায়ন করতেই বড় জয় উপহার দিলো বাংলাদেশ। ম্যাচের ফলাফল ৪-০ হলেও নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেললে ড্র এমনকি বাংলাদেশের জয় দেখতে পেত সমর্থকরা। কিন্তু গোল মিসের মহরা আর ডিফেন্ডারদের ভুলে আবারো বড় হারের তিক্ত স্বাদ নিল মামুনুলরা।এদিন শুরু থেকেই অগোছালো খেলা খেলতে থাকে বাংলাদেশ। আর প্রতিপক্ষ জর্ডান র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকলেও তাদের খেলার মান তেমন ছিল না। শুধুমাত্র অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী শারীরিক গঠনের ফায়দা তুলে নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দলটি। অপরদিকে পুরো খেলায় বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের ফিটনেসের অভাব ছিল চোখে পরার মত। আর পাশাপাশি ছিল খেলায় মনোযোগের অভাব। তার উপরে যোগ হয়েছে দুর্বল রেফারিং। সব মিলিয়ে দিনটি অপয়া ছিল স্বাগতিকদের।জর্ডানের প্রথম গোলটি আসে পেনাল্টি থেকে। ডি বক্সের মাঝে মিশু বল পা দিয়ে ফেরাতে না পেয়ে হাত দিয়ে বল ফেরানোর চেস্টা করেন। আর এতে পেনল্টি পায় জর্ডান। দ্বিতীয় গোলটি ছিল সম্পূর্ণ ডিফেন্ডারদের ভুলে। প্রতিপক্ষের কোন ফরোয়ার্ডকে পাহারায় রাখেননি মামুনুলরা। মুনথার আবু আমারা যেখান থেকে শট নিয়েছেন তার সামনে চারজন খেলোয়াড় বলটি কেবল জালে জড়াতে দেখেছেন। মনে হয়েছিল এত দূর থেকে এই খেলোয়াড় আর কি করবে। শেষ দুটি গোল ফিটনেস এবং মনোযোগের অভাবে খেয়েছে বাংলাদেশ। দুই গোলে পিছিয়ে থেকে খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষা ছিল খেলাটা শেষ হলেই বাঁচি। আর বাংলাদেশের স্ট্রাইকাররা ফাঁকায় এমনকি গোলরক্ষককে একা পেয়েও যেন তালগোল হারিয়ে ফেলছিলেন। ফরোয়ার্ডদের দুর্বলতা ফুটে উঠেছে প্রকটভাবে। বয়সের ভারে ক্লান্ত ছিলেন এমিলি। আর নবীন জুয়েল ছিলেন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার মানসিক চাপে। তাই সব মিলিয়ে এদিন বাংলাদেশ যেন জর্ডানকে বড় জয় উপহারই দিল। আরটি/এআরএস/আরআইপি
Advertisement