জাতীয়

পাঁচ টাকা সরকারি মুদ্রার বিধান রেখে সংসদে বিল

সরকারি মুদ্রা হিসেবে দুই টাকার কয়েন এতোদিন সরকারি মুদ্রা হিসেবে প্রচলিত ছিল। কিন্তু দুই টাকার ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় সরকার পাঁচ টাকার কয়েনকে সরকারি মুদ্রা ঘোষণা করতে মঙ্গলবার সংসদে বাংলাদেশ কয়েনজ অর্ডার ১৯৭২ সংশোধন বিল সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। বিলটি উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। পরে বিলটি পরীক্ষাপূর্বক প্রতিবেদন প্রদানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বিলের উদ্দেশ্যে ও কারণ সর্ম্পকিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯৭২ সালে দি বাংলাদেশ কোইনেজ অর্ডার দীর্ঘ ১৭ বছর পর ১৯৮৯ সালে সংশোধন করে দুই টাকাকে সরকারি মুদ্রা করা হয়। এর আগে সর্বোচ্চ এক টাকার মুদ্রা সরকারি মুদ্রা হিসেবে পরিচিত ছিল। ইতিমধ্যে ২৬ বছর অতিবাহিত হয়েছে। দুই টাকার ক্রয় ক্ষমতাও আগের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। এ কারণে বর্তমানে আইনের অধিকতর সংশোধনের মাধ্যমে ৫ টাকার নোটকে সরকারি মুদ্রায় রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে দেশের মোট  অর্থের যোগান অপরিবির্তত থাকবে। এ কারণে মুল্যস্ফীতিজনিত প্রভাব হবে না।বিলে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৪-৭৫ সালে বাজারে প্রচলিত মোট অর্থের মধ্যে সরকারি মুদ্রার পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। ২০১৩-১৪ অর্থবছর শেষে যা দশমিক নয় শূন্য শতাংশে নেমে এসেছে। পাঁচ টাকা মূল্যমানের নোট ও কয়েনগুলোকে সরকারি মুদ্রায় রূপান্তর করা হলে সরকারি মুদ্রার পরিমানণ বাজারে প্রচলিত মোট মুদ্রার এক দশমিক পাঁচ শূন্য শতাংশে উন্নীত হবে।এইচএস/এএইচ/আরআইপি

Advertisement