মেঘ দেখে রোমাঞ্চিত হওয়ার স্বভাব আমাদের পুরনো। তাইতো মেঘ নিয়ে দেশে বিদেশে অনেক গান আর কবিতা লেখা হয়। কিন্তু হঠাৎ আপনার মাথার উপরে থাকা মেঘ যদি ভূতুরে হয়ে যায় তাহলে খানিকটা চমকানোর কথা। অস্ট্রেলিয়ার আকাশে গত ১০ জুন মেঘগুলোকে যেভাবে দেখা গেছে তা হয়তো অনেকেই দেখেনি।
Advertisement
অ্যাসপিরেটাস নামের এই মেঘ আকাশে ঘনীভূত হলে আপনার চোখে পড়বে একাধিক ঢেউ এর সমষ্টি। মনে হবে একাধিক ঢেউ যেন খেলে বেড়াচ্ছে গোটা আকাশ জুড়ে। তখন আপনার মনে হবে আকাশটা বুঝি অনেক কাছে নেমে এসেছে। হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যাবে।
মেলবোর্নের পাশের এলাকা মার্টলফোর্ডে এমন চিত্র ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। পড়ন্ত বিকেলে গাড়িতে করে ওখান দিয়ে যাচ্ছিলেন পল ম্যাকুলি নামের এক ব্যক্তি। আচমকা আকাশে নজর পড়তেই হকচকিয়ে যান তিনি। তার ভাষায়, আকাশটাকে বড় একটা পুকুর বা সমুদ্রের একটা অংশের মত লাগছিল। যেখানে তৈরি হচ্ছে একাধিক ঢেউ। তারা আছড়ে পড়ছে একে অন্যের ঘাড়ে। কিন্তু খুব দ্রুত স্থান পরিবর্তন করছে।
Asperitas clouds, caught on June 10, by Kent Reinhard in Bennet Nebraska on June 10. They’ve been described as “… as if viewing a roughened sea surface from below.” The World Meteorological Organization officially recognized this type of cloud in the 2017. pic.twitter.com/vnk9sRkJi0
Advertisement
তিনি তৎক্ষনাৎ ওমন মেঘের ছবি তোলেন। ম্যাকুলি বলছিলেন, ‘এ এক অনন্য নজির। নিজের চোখে কেউ না দেখলে এটা বিশ্বাসই করবে না।’ পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এমন মেঘের নাম অ্যাসপেরিটাস ক্লাউড। আন্তর্জাতিক ক্লাউড অ্যাটলাস জানিয়েছে, লাতিন শব্দ থেকে এই মেঘের নামকরণ করা হয়েছে।
মূলত ঢেউয়ের মতো গঠন এসব মেঘের। খুব দ্রুত স্থান পরিবর্তন করাই হলো এর মূল বৈশিষ্ট্য। এই ধরনের মেঘ গত দশকে খুব বেশি দেখা না গেলেও ২০১৭ সালের আগে এসব মেঘকে মেঘসমষ্টি হিসেবে ধরাই হত না।
এ ধরনের মেঘপুঞ্জ এখন প্রায়ই দেখা যায়। তাই বিজ্ঞানীরা নতুন করে এটি নিয়ে চিন্তা করেছেন। ক্লাউড অ্যাপ্রিসিয়েশন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা বিজ্ঞানী গ্যাভিন প্রেটোর প্রথম এই মেঘ নিয়ে লেখা শুরু করেন। তিনি এর নাম দেন অ্যাসপেরিটাস ক্লাউড।
এসএ/এমকেএইচ
Advertisement