এক ব্যক্তি তার সমকামী বন্ধুকে প্রায় এক যুগ আগে কৃত্রিম উপায়ে স্পার্ম (শুক্রাণু) দান করেছিলেন। তারপর ওই সমকামী বন্ধুর একটি কন্যাসন্তান হয়। যার বয়স এখন প্রায় ১২ বছর। অবশেষে ওই শিশুর পিতৃত্ব নিয়ে করা মামলায় আদালত স্পার্ম ডোনারকে বৈধ পিতার স্বীকৃতি দিয়ে রায় দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার হাইকোর্ট।
Advertisement
বুধবার আদালত এই রায় দেয়ার পর বলেন, যেহেতু এই ব্যক্তির (স্পার্ম ডোনার) নাম শিশুটির জন্ম সনদে আছে তাছাড়া শিশুটির সঙ্গে সম্পর্কও ‘খুবই ঘনিষ্ঠ’ সেহেতু তিনিই তার বাবা। তাই এখন তার এটা বলার অধিকার আছে যে তার সন্তান কোথায় বসবাস করবে।
আদালতে দাখিল করা নথি থেকে জানা যায়, স্পার্ম ডোনার এবং শিশুটির পিতা হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির নাম রবার্ট ম্যাসন। তিনি আজ থেকে এক যুগেরও বেশি সময় আগে ২০০৬ সালে কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি ব্যবহার করে তার বন্ধুকে স্পার্ম দেন।
আদালত বলছেন, ম্যাসন নামের ওই ব্যক্তি আশা করেছিল যে, শিশুটির সঙ্গে বসবাস না করলেও সে তার সঙ্গে পিতা মাতার ভুমিকা পালন করবে। তিনি শিশুটির জন্য আর্থিক সহযোগিতা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং অন্যান্য বিষয়ের দেখভালও করেন।
Advertisement
শিশুটি ম্যাসন নামের ওই ব্যক্তিকে বাবা বলে ডাকে। তার আরও একটি বোন আছে। সেও ম্যাসনকে বাবা বলে ডাকে। যদিও তার সঙ্গে ম্যাসনের কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই, তবুও। সমস্যা শুরু হয় ২০১৫ সালে, যখন শিশুটির মা এবং তার সঙ্গী নিউজিল্যান্ড যেতে চায়।
এ নিয়ে আদালেত যান রবার্ট ম্যাসন। প্রথমে নিম্ন আদালত ম্যাসনের বিপক্ষে রায় দেন। পরে ম্যাসন উচ্চ আদালতে যান। এ নিয়ে দেয়া রায়ে অস্ট্রেলিয়ান হাইকোর্টের বিচারক মার্গারেট ক্লেরি বলেন, ম্যাসনের বিরুদ্ধে রায় দিয়ে নিম্ন আদালত ভুল করেছে। শিশুটি অস্ট্রেলিয়ায় থাকবে। কেননা দেশে থাকলে তার বৈধ বাবা তাকে দেখতে পাবেন। এসএ/এমএস