আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া বলেছেন, বাজেট ঘোষণা মানেই একদিকে স্বপ্ন অন্যদিকে শঙ্কা। আশা আর স্বপ্ন হাত ধরাধরি করে চলে।
Advertisement
বাজেটে আশার জায়গা তৈরি হওয়ার সুযোগ থাকে আর তাতে ভর করেই মানুষ স্বপ্ন দেখে উন্নতি ও সমৃদ্ধির। অন্যদিকে নতুন করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি কিংবা মূল্যস্ফীতির সংকেত মিলবে কিনা এমন শঙ্কাও জাগে। একজন দায়িত্বশীল অর্থমন্ত্রী যে উভয় দিক সম্পর্কে সচেতন থাকেন- তার প্রমাণ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী তার বাজেটে। এ বাজেটে সরকারের রূপকল্প এবং অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
বুধবার (১৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে প্রতি তিন কিলোমিটারের মধ্যে একটি করে ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা। ইন্টারনেট ব্যবহারের আওতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সঙ্গে আরও বেশি সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২০০৮ সালে দেশে ইটারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ২.৬৭ শতাংশ। এ সংখ্যা ২০১৯ সালের মার্চ পর্যন্ত ৫৬.৮৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
Advertisement
তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় গত সাড়ে দশ বছরে তিন হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। সেতু, কালভার্ট, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা, কবরস্থান, মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থাপনা সংস্কার ও নির্মাণে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। দাউদকান্দি উপজেলার বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হয় গৌরীপুরকে। জনবহুল এ অঞ্চলটি আশপাশের কয়েকটি উপজেলার ব্যবসার প্রাণ কেন্দ্র। এখানে ব্যবসা কেন্দ্রিক নানান শিল্প-প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ, চিকিৎসাকেন্দ্র ও সামাজিক অবকাঠামো রয়েছে। উপজেলার প্রধান স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিও এই ইউনিয়নে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ ঘেঁষা এ স্থানটি আশপাশের কয়েকটি উপজেলার যোগাযোগের সংযোগ স্থলও। তাই যে কোনো বিবেচনায় গৌরীপুরকে পৌরসভায় উন্নীত করা যায়।
তিনি বলেন, আমি একটি দাবি মহান সংসদে গত দশ বছর ধরে করে আসছি। দাউদকান্দিকে হেড কোয়ার্টার করে কুমিল্লা উত্তর সাংগঠনিক জেলাটিকে পূর্ণাঙ্গ জেলা ঘোষণা করা হোক। ৮০ দশকে তৎকালীন সরকার দেশের সব মহকুমাকে জেলা ঘোষণা করলেও কুমিল্লা উত্তর মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করেনি। সময়ের প্রয়োজনে এটি এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দাবি। এ সময় তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন দাবি দাওয়া তুলে ধরেন। এগুলো হল: ফেনী-লাকসাম-দাউদকান্দি হয়ে ঢাকা পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন, দাউদকান্দির ট্রমা সেন্টার ও দোনারচর ২০ শয্যা হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা চালু, মেঘনা উপজেলাকে সমন্বিত সেচ প্রকল্পের আওতায় আনা, গৌরপুর ও দাউদকান্দিতে স্থায়ী বাস ও ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, কাঁঠালিয়া, কালাডুমুর ও খিরাই নদী খনন, প্লাবন ভূমিতে মৎস্য চাষ নিয়ে এ অঞ্চলে একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ, মেঘনা উপজেলা হয়ে হোমনা পর্যন্ত রাস্তা বাঁকাসোজা ও প্রশস্ত এবং দাউদকান্দিতে একটি সুপরিসর মিলনায়তন নির্মাণ।
এইচএস/এএইচ/এমএস
Advertisement