জাতীয়

তামাকজনিত রোগে বছরে মারা যায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ

দেশে ধূমপান ও তামাক সেবনের কারণে বছরে ১২ লাখ মানুষ আটটি প্রাণঘাতী অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে এক লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায়।

Advertisement

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে বুধবার (১৯ জুন) সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী (যুগ্ম সচিব) মো. খায়রুল আলম শেখ এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি আসতে পারেননি। বেলা ১টায় সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও ২টার দিকে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সংবাদ সম্মেলন শুরু করেন। মন্ত্রীর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খায়রুল আলম শেখ।

তিনি বলেন, ‘সরকার প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ণাঢ্য কলেবরে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদযাপনের পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রতি বছর ৩১ মে দিবসটি উদযাপিত হলেও এ বছর তা ২০ জুন পালিত হবে।’

Advertisement

ঢাকাসহ সারাদেশে সিভিল সার্জনদের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে যুগ্ম সচিব বলেন, ‘তামাকের কারণে পৃথিবীতে প্রতি বছর ৭০ লাখের বেশি মানুষ অকালে মারা যায়। এর মধ্যে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়ে বছরে ৯ লাখের বেশি মানুষ মারা যায়।’

‘দেশে তামাকের ভয়াবহতা অত্যন্ত ব্যাপক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০০৪ সালের গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে ধূমপান ও তামাক সেবনের কারণে ১২ লাখ মানুষ আটটি প্রাণঘাতী অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়, এর মধ্যে তিন লাখ ৮২ হাজার মানুষ অকাল পঙ্গুত্বের শিকার হয়। টোব্যাকো এটলাস নামের আন্তর্জাতিক এক প্রকাশনায় দেখা গেছে, দেশে এক লাখ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ তামাকজনিত রোগে মারা যায়।’

সরাসরি ও পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ফুসফুস ক্যান্সার এবং ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন রোগ যেমন- এজমা/হাঁপানি, সিওপিডি (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পলমনারি ডিজিজ) ইত্যাদি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়তে এ বছর দিবসটির স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘তামাকে হয় ফুসফুস ক্ষয় : সুস্বাস্থ্য কাম্য, তামাক নয়।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ধূমপান মাদক সেবনের প্রবেশ পথ। তামাক সেবনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম মাদকের দিকে ধাবিত হয়ে পরিবার ও রাষ্ট্রের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য তামাক নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সক্রিয় হতে হবে।

Advertisement

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জমায়েত এবং সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্যন্ত র‌্যালি। সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত।

আরএমএম/এএইচ/এমকেএইচ