ঝিনাইদহে শাহজালাল রহমান শোভন নামে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নববধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় নববধূ শাহিনা খাতুনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Advertisement
অভিযুক্ত শাহজালাল রহমান শোভন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শেরকান্দি গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে। তিনি ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনে পুলিশ সদস্য (কনস্টেবল) হিসেবে কর্মরত।
আহত শাহিনা খাতুন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার উমেদপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম সাচ্চু মিয়ার মেয়ে।
নববধূ শাহিনা খাতুন জানান, গত ১২ এপ্রিল পুলিশ সদস্য শোভনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। গত ৮ জুন তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে নেয়া হয়। এরপর ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে তারা বসবাস শুরু করেন। মঙ্গলবার সকালে শাহিনা খাতুন শহরে ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার কথা বললে স্বামী শোভন তাকে গালিগালাজ ও মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেন। পরবর্তীতে অনেক অনুরোধের পর ঘরে ঢুকতে দিলেও তাকে ঘরের মধ্যে আটকে রড দিয়ে মারধর করেন। এমনকি তাকে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার চেষ্টা করেন স্বামী শোভন।
Advertisement
এ সময় শাহিনা চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধারের জন্য দরজা খুলতে বলে। শোভন দরজা খুলে দিলে শাহিনা ঘর থেকে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় শোভন তাকে ধারালো বটি নিয়ে তাড়া করে। পরে স্থানীয়রা শাহিনাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজনকে খবর দেন। তারা শাহিনাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। স্বামী শোভন প্রায়ই নেশা করে বাসায় ফিরত বলেও অভিযোগ করেন শাহিনা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য শাহজালাল রহমান শোভন বলেন, আমি আমার স্ত্রীর মোবাইল ফোন প্রায়ই বিজি পাই। মোবাইল এত বিজি কেন এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে কোনো জবাব দেয়নি। এছাড়াও পারিবারিক কিছু সমস্যার কারণে তাকে চড়-থাপ্পড় মারতে বাধ্য হয়েছি।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শাহ আলম প্রিন্স বলেন, শাহিনার চোখে- মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে।
ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনের রিজার্ভ ইন্সপেক্টর ( আরআই) তরুণ বড়ুয়া বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কনস্টেবল শোভন দীর্ঘদিন ধরেই বিনা নোটিশে অনুপস্থিত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
Advertisement
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/আরএআর/পিআর