সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাচনের দুদিন আগে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজবি-উল-কবির জমাদ্দারের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় তাকে বাদ দিয়েই নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করে নির্বাচন কমিশন ও বরগুনা জেলা নির্বাচন অফিস।
Advertisement
কিন্তু উচ্চ আদালতে রিট আবেদনের পর নির্বাচনের মাত্র ২২ ঘন্টা আগে প্রার্থিতা ফিরে পান বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রেজবি। এরপর নির্বাচনে অংশ নিয়ে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মিন্টুকে পরাজিত করে বিজয় লাভ করেন।
নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে রেজবি পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিন্টু পেয়েছেন ১০ হাজার ৬৯৬ ভোট।
নির্বাচনে জয় লাভের পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় রেজবি-উল-কবির জমাদ্দার জাগো নিউজকে বলেন, আমাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমি মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জানাই, আমার প্রতি তার রহমত না থাকলে আমি যে নির্বাচনী মার-প্যাঁচে আটকে গিয়েছিলাম, সেখান থেকে উঠে আসা সম্ভব হতো না।
Advertisement
তিনি বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি আমাকে আওয়ামী লীগের মতো একটি বৃহৎ সংগঠনের মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি কৃতজ্ঞ আমার তালতলীবাসীর প্রতি। আমি কৃতজ্ঞ আমার দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি। যারা আমার মুখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামনে উজ্জ্বল করেছেন।
এ নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৩০টি। এর মধ্যে ২৬টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিল প্রশাসন। ১২টি মোবাইল টিম এবং দুটি স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করছে নির্বাচনী মাঠে।
মো. সাইফুল ইসলাম মিরাজ/বিএ
Advertisement