মঞ্চের পেছনে টানানো ব্যানারে লাল অক্ষরে লেখা ‘অভিনন্দন রুমান সানা’, তার ওপরে লেখা ২০২০ অলিম্পিকে বাংলাদেশ।
Advertisement
নেদারল্যান্ডসে হওয়া ওয়ার্ল্ড আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনালে উঠে বাংলাদেশের প্রথম আরচার হিসেবে অলিম্পিকে কোয়ালিফাই করা এবং পরে ব্রোঞ্জ জিতে সে অর্জনকে আরো রাঙিয়ে দেয়া রোমান সানার সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশন।
কিন্তু যে ক্রীড়াবিদ ৫২টি দেশের আরচারকে টপকিয়ে ব্রোঞ্জ এনে দিলেন বাংলাদেশকে, তাও ইতিহাস গড়ে, সেই আরচারের নামটিই ঠিকমতো লিখতে পারেনি ফেডারেশন। বাবা-মায়ের রাখা ‘রোমান সানা’ নামটি ফেডারেশন রাতারাতি করে দিলো ‘রুমান সানা’।
রোমান সানার এ অর্জন ৯২টি দেশ নিয়ে হওয়া আরচারির সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে এবং অলিম্পিক ইভেন্টে। কিন্তু এর গুরুত্ব বোঝার মানুষের অভাব ক্রীড়াঙ্গনে।
Advertisement
অভাব বলেই তার নামের বানানটি ঠিকমতো লেখা হয় না, দেশের জন্য ইতিহাস গড়া এই আরচার সংবর্ধনায় পান মাত্র ২ লাখ টাকা। সেটা দিয়েছে আরচারি ফেডারেশনের পৃষ্ঠপোষক সিটি গ্রুপ।
অথচ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ক্রীড়াঙ্গনের অনেক রথি মহারথি উপস্থিত ছিলেন। ‘কুমিরের বাচ্চা দেখানো’র মতো একই ফুলের তোড়া সবাইকে দিয়ে অভিনন্দন জানিয়ে নিষ্ঠুর রসিকতাই করা হয়েছে দেশের সেরা এ আরচারের সঙ্গে।
২০২২ সালে টোকিও অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জনকারী আরচার তার নামটি বিকৃত করে লেখা হয় বলে মনক্ষুণ্ণ। যদিও এ নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি।
আরআই/এসএএস
Advertisement