পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় যৌতুকের জন্য স্বামীর নির্মম অত্যাচারে শাহানাজ (৪০) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।ভাণ্ডারিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার ও নিহতের ভাই মো.শহিদুল ইসলাম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া-নলকাটা গ্রামের মৃত জব্বার হাওলাদারের মেয়ে শাহানাজের সঙ্গে ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার পশ্চিম চেঁচরি গ্রামের মৃত কাছেম মলিকের ছেলে মাহাবুব মলিকের সঙ্গে দুই বছর আগে বিয়ে হয়। এটি উভয়ের দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকে মাহাবুব যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকে। পিতৃহীন শাহানাজ ভাইদের কাছ থেকে স্বামীর দাবিকৃত যৌতুকের এক লাখ টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করায় প্রায়ই তার উপর নির্যাতন চলতো। এক পর্যায়ে তিনি স্বামীর সংসার ছেড়ে ভাইদের কাছে আশ্রয় নেয়। এদিকে, শাহানাজ নিরুপায় হয়ে স্বামীর অত্যাচার হতে রেহাই পাওয়ার জন্য গত ২৫ আগস্ট ভাণ্ডারিয়া ব্র্যাক অফিসের মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কেন্দ্রে স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কেন্দ্রের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের তাদের নোটিশ দিলে তারা মঙ্গলবার বেলা ১০টার দিকে ব্র্যাক অফিসে উপস্থিত হন। শাহানাজের স্বামী মাহাবুব মলিক স্ত্রীকে ব্র্যাক অফিসের সামনের রাস্তায় দেখে জোরপূর্বক একটি রিকশায় তুলে ধাওয়া গ্রামের ফুলতলা নামক স্থানে নিয়ে তার উপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। সেখান থেকে তাকে স্বজনরা উদ্ধার করে প্রথমে ভাণ্ডারিয়া হাসপাতালে ও পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুপুর ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এদিকে এ ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কেন্দ্রের মাঠ সংগঠক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তিনি মৃত্যুর বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছ থেকে শুনেছেন। হাসান মামুন/এসএস/পিআর
Advertisement