দেশের তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী এক মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিলেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
Advertisement
সম্পূরক এক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানান, এলপিজি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি না করার বিষয়ে ২০১৬ সালে একটি রিট দায়ের করা হয়েছিল। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন এবং মূল্য নির্ধারণে বিইআরসির পদক্ষেপ জানতে চান। এরপর তিন বছর কেটে গেলেও বিইআরসি গ্যাসের মূল্য নিয়ন্ত্রণে তাদের পদক্ষেপ সম্পর্কে আদালতকে জানায়নি। তাই আজ হাইকোর্টে আরেকটি আবেদন করে মূল্য নির্ধারণে বিইআরসি কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়।
Advertisement
শুনানি নিয়ে আদালত আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এলপিজির মূল্য নিয়ন্ত্রণে বিইআরসি কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা প্রতিবেদন আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের বিষয়ে ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে মুবাশ্বির হোসেন। আবেদনে গ্যাসের দাম বাড়ানো সংক্রান্ত বিইআরসির জারি করা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়।
রিটে বলা হয়, বাংলাদেশ অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন- ২০০৪ অনুসারে বছরে একবারের বেশি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সুযোগ নেই। অথচ একবারে দুই ধাপে মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া গণশুনানির মাধ্যমে ৯০ দিন পর গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির কথা। ফলে এবারের মূল্যবৃদ্ধিতে আইনের সেসব বিধানের ব্যত্যয় ঘটেছে।
ওই রিটের শুনানিতে গ্যাসের দাম না বাড়াতে অন্তর্বর্তী নির্দেশনাসহ রুল জারি করা হয়।
Advertisement
এফএইচ/এমএআর/পিআর