বিগত তিন দশকে গঙ্গা, যমুনা ও পদ্মার ভাঙনে প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার হেক্টর ভূমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়া আগে বছরে ১০ হাজার হেক্টর ভূমি বিলীন হলেও বর্তমানে প্রতিবছর ছয় হাজার হেক্টর ভূমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদী শাসনের ফলে নদীতীর ভাঙনের তীব্রতা কমে এসেছে। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।দেশের নদী এলাকার পাঁচ ভাগ ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর প্রায় দুই হাজার চারশ কি.মি. নদী তীর ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকে। এর মধ্যে কমবেশি একশটি উপজেলা বন্যা ও নদী ভাঙনের শিকার হয়। নদী ভেদে প্রতি বছর ৬০ মিটার থেকে এক হাজার ছয়শ মিটার পর্যন্ত নদীর তীর স্থানান্তরিত হয়।তিনি বলেন, নদী ভাঙন বাংলাদেশের অন্যতম সমস্যা। নদী ভাঙন রোধকল্পে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদে তিনশ ১০ কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া পদ্মা, গঙ্গা, যমুনা নদীর ভাঙনরোধে স্থায়ী সমাধানে আটশ ২৮ দশমিক ৬৫ কোটি টাকা ব্যয় সম্বলিত ফ্লাড অ্যান্ড রিভার ব্যাংক ইরেসন রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম ট্রেস-১ শীর্ষক একটি প্রকল্প বর্তমানে চলমান রয়েছে।প্রকল্পটি তিনটি পর্যায়ে বাস্তবায়িত হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রথম পর্যায়ের বাস্তবায়নকাল ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছর। প্রথম পর্যায়ে এডিবির সম্ভাব্যতা সমীক্ষার আলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভাঙন প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে বাস্তবায়নের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ পর্যায়ে ২৩ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণসহ ১৫ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।এইচএস/এএইচ/আরআইপি
Advertisement