খুচরা বাজারে এখন ৮০ টাকার আদা ১৬০ টাকা, অর্থাৎ দ্বিগুণ দাম কেন? মাত্র ১৫ দিনে এটা বেড়ে দ্বিগুণ হলো কেন? ব্যবসায়ীদের প্রতি এমন প্রশ্ন রেখেছেন বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম।
Advertisement
মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি-সংক্রান্ত পর্যালোচনা ও গত রোজায় পণ্য সহনীয় পর্যায়ে থাকায় ব্যবসায়ীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে এ প্রশ্ন রাখেন তিনি। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘আমি গতকালও এক কেজি আদা ১৬০ টাকায় কিনেছি। আগামী কোরবানির ঈদ আসতে আসতে এটা আরও বেড়ে যাবে। কিন্তু এটা কেন? এটা হতে দেয়া যাবে না।’
আদা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে সচিব বলেন, যে পরিমাণ আদার চাহিদা আছে, আপনারা সেই পরিমাণ আমদানি করেন। আমরা সব ধরনের সহযোগিতা দেব। কোনোভাবেই যাতে আদার মূল্যবৃদ্ধি না পায়।
Advertisement
আরও পড়ুন> এক হাত বদলেই সবজির দাম দ্বিগুণ
এ প্রশ্নের প্রেক্ষিতে বাবুবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আড়তদার আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা যেসব দেশ থেকে বিশেষ করে ভারত, চীন মিয়ানমার থেকে আদা আমদানি করি, সেসব দেশে এবার উৎপাদন কম হয়েছে। ফলে এবার আদার দাম বেশি থাকবে।
এ বিষয়ে মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘নো, যে পরিমাণ দরকার, তা বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করেন। একসঙ্গে সব দেশে উৎপাদন কম হয়েছে এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। পর্যাপ্ত আদা আমদানি করতে হবে, যাতে কোনোভাবেই আদার দাম না বাড়ে।’
এ সময় ব্যবসায়ী সমিতির এই নেতা বলেন, মিয়ানমার থেকে আমরা দুটি পথে আদা আমদানি করি। একটা চট্টগ্রাম পোর্ট, আরেকটা টেকনাফ দিয়ে। টেকনাফ দিয়ে আমরা সরাসরি আমদানি করতে পারি না। এ পথ মিয়ানমারের লোকজন নিয়ন্ত্রণ করে। কয়েক ধাপে আমাদের পয়সা খরচ করে আদা আনতে হয়। ফলে আদার দাম বেশি পড়ে যায়। তবে আদার দাম আর যাতে না বাড়ে, সে চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি।
Advertisement
এমইউএইচ/এমএসএইচ/এমএস