মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন, বাংলাদেশের ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩৮ হাজার ৫৭১ টন শুঁটকি উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে সামুদ্রিক শুঁটকির পরিমাণ ২৯ হাজার ৮২ টন, যা দেশের উৎপাদিত মোট শুঁটকির প্রায় ৭৫ শতাংশ।
Advertisement
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩৫ হাজার ৩৫৯ টন শুঁটকি রফতানি করা হয়েছে। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ৮.২৬ মিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৬৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে মনজুর হোসেনের (ফরিদপুর-১০) তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ১৯৯৭ এর বিধি ৫ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি শুঁটকি বা অন্য কোনো উপায়ে প্রক্রিয়াজাত মাছের মধ্যে ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার করবে না।
তবে শর্ত থাকে যে, কীটপতঙ্গ ও পোকামাকড় থেকে শুঁটকি রক্ষার্থে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক অনুমোদিত এবং নির্দিষ্ট মাত্রায় বায়ো-ডিগ্রেডেবল কীটনাশক ব্যবহার করা যাবে। ওই বিধান বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বাণিজ্যিকভাবে শুঁটকি উৎপাদনকারী এলাকা নিয়মিত পরিদর্শন করেন।
Advertisement
এইচএস/এমএসএইচ/এমএস