চলতি বছরের মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৫ দশমিক ৬৩ ভাগ হয়েছে, যা গত এপ্রিলে ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৫৬ ভাগ। ২০১৮ সালের মে মাসের চেয়েও এ বছরের এই সময়ে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। ২০১৮ সালে মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার শতকরা ৫ দশমিক ৫৭ ভাগ ছিল।
Advertisement
চলতি বছরের মে মাসে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উপ-খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে শতকরা ৫ দশমিক ৪৯ ও ৫ দশমিক ৮৪ ভাগ, যা গত এপ্রিলে ছিল যথাক্রমে শতকরা ৫ দশমিক ৫৪ ও ৫ দশমিক ৬৪ ভাগ।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানান।
মূল্যস্ফীতির হ্রাস-বৃদ্ধি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পরিধেয় বস্ত্র, আসবাবপত্র ও গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা ও পরিবহন দ্রব্যাদি উপ-খাতের কিছু দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য মে মাসে বৃদ্ধি পেয়েছে।
Advertisement
২০১৮ সালের জুন থেকে ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত এক বছরের চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতির হার নিরূপিত হয়েছে শতকরা ৫ দশমিক ৪৮ ভাগ। এর আগের এক বছরে একই সময়ে চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৮১ ভাগ।
মে মাসে গ্রামীণ পর্যায়ে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৪৪ ভাগ, যা এপ্রিলে ছিল ৫ দশমিক ৪১ ভাগ। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উপ-খাতে মূল্যস্ফীতির হার শতকরা ৫ দশমিক ৬৭ ও ৫ দশমিক ০১ ভাগ, যা এপ্রিলে ছিল যথাক্রমে ৫ দশমিক ৬৮ ও ৪ দশমিক ৮৯ ভাগ।
শহর পর্যায়ে মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৯৬ ভাগ, যা এপ্রিলে ছিল ৫ দশমিক ৮৯। মে মাসে খাদ্য ও খাদ্য উপ-খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ৫ দশমিক ০৯ ও ৬ দশমিক ৯৫ ভাগ, যা এপ্রিলে ছিল ৫ দশমিক ২২ ও ৬ দশমিক ৬৬ ভাগ।
পিডি/জেডএ/এমএস
Advertisement