আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে আদালতের ওপর।’ মঙ্গলবার রাজধানীর কাউলায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব বলেন।
Advertisement
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে কটূক্তি এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানায় মানহানির দুই মামলায় দুর্নীতির দায়ে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ হাফিজ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ জামিন মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করছে। বেগম খালেদা জিয়ার মামলার বিষয়েও সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। বিচার বিভাগ স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করছেন, আজকের জামিন তার একটি দৃষ্টান্ত।’
‘খালেদা জিয়ার মুক্তি পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে আদালতের ওপর। কেবল দুটি মামলায় জামিন নয়, সব মামলা থেকে জামিন পেলে আর আদালত নির্দেশ দিলে সরকার খালেদা জিয়াকে জেলে রাখতে পারবে না’ বলেন ওবায়দুল কাদের।
Advertisement
এ সময় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া দলের নেতাকর্মীদের শাস্তির বিষয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পদক।
তিনি বলেন, ‘বিদ্রোহী প্রার্থীদের শাস্তি নানাভাবেই নিশ্চিত করা হচ্ছে। এমনও সিদ্ধান্ত আছে, যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে কাজ করবে, তাদের আর দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হবে না।’
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে এমআরটি লাইনগুলো তৈরি হয়ে যাবে। মেট্রোরেলের আগেই ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শেষ হবে।’
তিনি জানান, তিন ধাপে সম্পন্ন হবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ। প্রথম ধাপ বিমানবন্দর থেকে বনানী রেলক্রসিং, দ্বিতীয় ধাপ বনানী থেকে মগবাজার রেলক্রসিং এবং তৃতীয় ধাপ মগবাজার থেকে শনির আখড়ায় গিয়ে শেষ হবে। পুরো কাজ শেষ হবে ২০২২ সালের মার্চ নাগাদ। তবে তিন ধাপের পুরো নির্মাণকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের সুফল ভোগ করা যাবে না।
Advertisement
আগামী জানুয়ারির মধ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপের (বিমানবন্দর থেকে বনানী রেলস্টেশন পর্যন্ত) নির্মাণকাজ শেষ হবে বলেও জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
এইউএ/এমএএস/এমআরএম/পিআর