পাবনা সদর উপজেলার শানিকদিয়ার গ্রামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন, সদর উপজেলার শানিকদিয়ার চর গ্রামের শুটকা প্রামানিকের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৪০), আকাত মালিথার ছেলে মিজান (৩০), বাবু প্রামানিকের ছেলে বাবলু (২৩), মুর্শিদ খাঁর ছেলে রিপন (১৪), হাবু মন্ডলের ছেলে সামাদ (২৮), উজ্জ্বলের স্ত্রী সবুরা খাতুন (৩০), জামাল উদ্দিনের স্ত্রী জহুরা খাতুন (৫৫), আজাদ প্রামানিকের ছেলে ডাবলু (৩৫), হাসেন প্রামানিকের ছেলে শাহিন (৩০) ও আখের হাজীর ছেলে মতিন (৪৫)। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিল্লাল হোসেনকে রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা জাগো নিউজকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে শানিকদিয়ার হাটের ইজারাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আসলাম হোসেনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থক পান্না সরকারের বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা শানিকদিয়ার বাজারের চায়ের দোকানে বসে গল্প করছিলেন। এ সময় আসলামের সমথর্করা তাদের উপর হামলা চালায় এবং গুলি করতে থাকে। গুলিতে আহত হয়ে এবং ভয়ে সবাই পালাতে থাকেন। এ সময় আসলামের লোকজন বকুল, মুকুল, মজিবর, সাহেব এর বাড়ি ও দোকান ঘর ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পাবনা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল হোসেন জাগো নিউজকে জানান, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কেউ থানায় কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেনি।এদিকে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল রহিম লাল জাগো নিউজকে বলেন, এটা কোনো দলীয় কোন্দল নয়। সম্পূর্ণ এলাকাভিত্তিক গোষ্ঠীগত ঝামেলা। এর সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।একে জামান/এসএস/আরআইপি
Advertisement