বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে কটূক্তি এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মানহানির দুই মামলায় ছয় মাসের জামিন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (১৮ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ হাফিজ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ জামিন মঞ্জুর করেছেন।
Advertisement
গত ২৩ মে জামিন শুনানির কথা থাকলেও রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনে আদালত ঈদের পর অর্থাৎ ১৭ জুন শুনানির দিন ধার্য করেন। গতকাল সোমবার (১৭ জনু) জামিন শুনানি শেষে আজ (মঙ্গলবার) আদেশ দেওয়া হলো।
এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে কটূক্তি এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মানহানির দুই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিল।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর আদালতে নালিশি মামলা করেন। দণ্ডবিধির ১৫৩ (ক) ও ২৯৫ (ক) ধারায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন এ বি সিদ্দিকী।
Advertisement
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতা চান নাই। তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব। জেনারেল জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ায় এ দেশের জনগণ যুদ্ধে নেমেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উন্নয়নের নামে চলছে দুর্নীতি ও লুটপাট। দলীয় লোকদের জঙ্গি বানিয়ে নিরীহ লোকজনকে হত্যা করছে, সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট ও হত্যা করছে। পুলিশ বাহিনী দিয়ে বিরোধীদলসহ ভালো ভালো লোককে গ্রেফতার, গুম এবং হত্যা করছে। উন্নয়নের নামে পদ্মাসেতু ও ফ্লাইওভারের কাজ বিলম্ব করে ব্যয়বহুল অর্থ দেখিয়ে লুটপাট করছে। যার বিরুদ্ধে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হুকুম দিচ্ছি, তোমরা প্রতিটি গ্রামে-গঞ্জে নেমে এ সরকারের বিরুদ্ধে সব জনগণ ও যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার ব্যবস্থা কর।’
এ ঘটনায় ২০১৭ সালে ২৫ জানুয়ারি তারিখে এবি সিদ্দিকী বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে শাহবাগ থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদনের নির্দেশ দেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়। এ রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন।
Advertisement
এফএইচ/আরএস/পিআর