ঢাকার ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে বিক্রি হওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ এক মাসের ভেতর সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এক রিট আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
Advertisement
সঙ্গে সঙ্গে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে ফার্মেসি/ওষুধাঘারে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি ও সংরক্ষণ বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, বাণিজ্য সচিব, শিল্প সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও উপ-পরিচালক,পুলিশের মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি ও মহাসচিবকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ১০ মে এক অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ঢাকা শহরের ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখা হয়।
Advertisement
এ বিষয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে (১৭জুন) রিট করেন জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষে নির্বাহী পরিচালক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন।
আদালতে আজ রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
মাহফুজুর রহমান মিলন সাংবাদিকদের বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে আদালত স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালককে ফার্মেসিতে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি, সংরক্ষণ ও সরবরাহকারীদের শনাক্ত করতে পৃথক স্বাধীন অনুসন্ধান কমিটি করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে, এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নিয়েছে তার একটি প্রতিবেদন আদালতে দিতে বলেছেন আদালত।
একইসঙ্গে, ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের উপ-পরিচালকের মন্তব্যের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দিতে ওই অধিদফতরের মহাপরিচালক ও উপ-পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
এফএইচ/এসএইচএস/জেডএ/এমকেএইচ/এমএস