মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে করা আপিলের ওপর শুনানি চলছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বিচারপতির বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়েছে।
আদালতে আজহারুলের আপিলের পক্ষে শুনানি করছেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আইনজীবী জয়নুল আবেদীন তুহিন। রাষ্ট্রপক্ষে রয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমসহ কয়েকজন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।
শুনানির শুরুতে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নাল আবেদীন বলেন, আমাদের প্রস্তুতির জন্য আরও সময় প্রয়োজন। তখন আপিল বিভাগ বলেন, এতদিন কী করেছেন? আর সময় দেয়া হবে না। শুনানি শুরু করেন। তখন জয়নাল আবেদীন আপিলের পেপারবুক থেকে পড়া শুরু করেন।
Advertisement
গত ১০ এপ্রিল শুনানিতে আপিল বিভাগের একই বেঞ্চ রোজা ও ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি এবং সুপ্রিম কোর্টের অন্য ছুটির পর ১৮ জুন আজহারুল ইসলামের আপিল দুটির শুনানি দিন ধার্য করেন।
সে সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, সেদিন কার্যতালিকার ১ নম্বরে এটিএম আজহারুল ইসলাম এবং ২ নম্বরে সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার আপিল মামলা থাকবে। তবে, আজ মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কার্যতালিকার (কজলিস্টের) ৫৯৯ নম্বরে ছিল। আপিল বিভাগের এ মামলার শুনানি চলছে। এর আগের মামলাগুলোর আদেশ দশ সপ্তাহের জন্য পিছিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর রংপুর জেলা আলবদর বাহিনীর কমান্ডার আজহারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড পাশাপাশি ৩০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে এক হাজার ২৫৬ জনকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, এক জনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শত শত বাড়ি-ঘর লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে পাঁচটি এবং পরিকল্পনা-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে।
Advertisement
ট্রাইব্যুনালের এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি খালাস চেয়ে আপিল করেন জামায়াতের এ নেতা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করেন আজহার।
এফএইচ/এএইচ/এমকেএইচ