শুরুটা ভালো করেছিলেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। মাত্র ৮.২ ওভারেই গড়েন ৫২ রানের জুটি। সৌম্য ফিরে গেলে দ্বিতীয় উইকেটে দুই বন্ধু তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের জুটি জমে গিয়েছিল দারুণভাবে।
Advertisement
মনে হচ্ছিলো যেনো, এ দুজনের ব্যাটেই হয়ে যাবে বড় কিছু। ঠিক তখনই ১৮তম ওভারে দূর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউটের শিকার হন তামিম। এর আগে অবশ্য সাকিব-তামিম মিলে মাত্র ৫৫ বলে যোগ করেন ৬৯ রান। তবে ম্যাচের নায়ক সাকিবের পরিকল্পনা ছিলো আরও বড়।
কী সেটি? ম্যাচ শেষে সাকিব নিজেই জানিয়েছেন এর উত্তর। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি আর তামিম যখন ব্যাটিং করছিলাম, তখন তামিমকে বলেছি, আমরা যদি উইকেটে টিকে থাকার চেষ্টা করি, তাহলে হয়তো আমরা দুজনই ম্যাচ শেষ করতে পারবো এবং খেলা শেষ হবে ৫-৬ ওভার আগে। তামিম দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউট হওয়ায় তা হয়নি।’
তামিম আউট হওয়ার পর উইকেটে থিতু হতে পারেননি মুশফিকুর রহীম। ওসানে থমাসের বলে মাত্র ১ রান করে উইকেটরক্ষক শাই হোপের ক্যাচ হয়ে ফিরে যান মিডল অর্ডারের এই ভরসা। মুশফিকের বিদায়ে উড়ে আসে শঙ্কা, জেগে ওঠে ক্যারিবীয়দের ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা।
Advertisement
তবে চতুর্থ উইকেটে সব শঙ্কা উড়িয়ে দেন সাকিব আল হাসান ও লিটন কুমার দাস। ক্যারিবীয় বোলারদের তুলোধুনো করে দুজন মিলে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাংলাদেশকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে, গড়েন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে রেকর্ড ১৮৯ রানের জুটি।
এ রেকর্ড জুটি গড়ার পথে লিটনকেও তামিমের মতো একই কথা বলছিলেন সাকিব, ‘তামিম ফিরে গেলেও লিটনকে নিয়ে আমরা অনেক আগেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেছি। লিটনকেও বলেছি, উইকেটে টিকে থাক। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা প্রচুর বাজে বল করছে। তাই উইকেটে থাকলেই রান করা যাবে।’
এসময় লিটনের ব্যাটিং প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘আমি জানতাম, উইকেট বেশ ভাল ছিল। তবে লিটন যেভাবে ব্যাটিং করলো তা দেখে অভিভূত ও মুগ্ধ হয়েছি। বিশ্বকাপে এটাই তার প্রথম ম্যাচ এবং আগের তিন ম্যাচে একাদশের বাইরে ছিলো। সেখান থেকে দলে এসে এরকম বড় রানের চাপ নিয়ে খেলতে নেমেও লিটন যা ব্যাটিং করেছে, তার প্রশংসা যতই করি, কম হবে।’
ক্যারিবীয়দের বোলিং বিশ্লেষণে সাকিব জানান, ‘উইকেট খুব ভালো ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা অনেক শর্ট বল করেছে, না হয় একটু বেশিই ফুলার লেন্থে বল করেছে। আবার কখনো কখনো কিছু ভালো বলও করেছে। তবে আমাদের এপ্লিকেশনটা ঠিক ছিল। তাই কোনো সমস্যা হয়নি।’
Advertisement
এআরবি/এসএএস